recent

The pen is mightier than the sword. অসির চেয়ে নাকি মসির শক্তি বেশি। তাই তনুকে নিয়ে লিখছি আর অনুধাবন করছি এক মমতা...

তনুর তরে কবিতা



The pen is mightier than the sword. অসির চেয়ে নাকি মসির শক্তি বেশি। তাই তনুকে নিয়ে লিখছি আর অনুধাবন করছি এক মমতাময়ী মায়ের যক্ষের ধন হারানোর বেদনা।একটি বছর কেটে গেল- উদঘাটিত হয়নি এই সরল সমীকরণের সমাধান, অমীমাংসিত রয়ে গেছে পাশবিক-মর্মান্তিক এই ঘটনার উপসংহার বিরচন বরং দিনের পর দিন নানান কর্মসূচি দিয়ে গোলা ভর্তি হয়েছে টেলিভিশনের খবর আর পত্রিকার সংবাদ। এসবের মাঝে শুধু নিরবে অশ্রুপাত করে গেছে একটি পরিবার। কি অপরাধ ছিল তাদের- যে অপরাদের দরুন গোটা পরিবারের ক্রন্দন একটি বর্ষ ছোঁয়ার পরও দৃষ্টি সীমানায়-, হারিয়ে যাওয়া রত্নের হাতছানি পেল না। তবে কি এ পৃথিবীর বুকে আরো একটি সমুদ্রের অবতারণা করবে এই পরিবার। না কি নিজ আঁখি জলে হারিয়ে যাবে কালান্তরে। সুধী সমাজ, আমরা কেবল সাধনাই করে গেলাম, প্রাপ্তির খাতা প্রায় শূন্য। কখনো কি ভুলাতে পেরেছি- সন্তান হারানো এক মাকে সন্তান হারানোর শূন্যতা।পূর্ন করে কি কখনো দিতে পেরেছি- এক মা হারা বাবার মাথায় স্নেহের হাত বুলানোর অভাববোধ। হাজারো টানাপড়া সংগ্রাম ও টানটান উত্তেজনায় জীবন অতিবাহিত হবে।এসবের মাঝেই তৈরি করতে হবে ঐশ্বরিক ভালোবাসা। ছড়িয়ে দিতে হবে যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে, মুছে দিতে হবে সমস্ত অশ্রুসিক্ত আঁখি আর বর্ণিল বিষাদে পরাতে হবে আমৃত্যু ফাঁসি। এরই ধারাবাহিকতায় মানুষ হয়ে উঠবে অজয়-অমর-অক্ষয়; অতঃপর অনিঃশেষিত সত্তা । তবে একদিন সবাই অন্তিম লগ্নে উপস্থিত হবে; জীবন সায়াহ্নের সেই সময় অকৃত্রিম জীবনের ঐক্যতান মিলিয়ে মিছে হাসি হাসার দরকার কি? বরং জীবন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে হৃদয়ের সমস্ত আবেগ দিয়ে অনুশোচনায় আঁখির জলে নিজকে অন্তত একটু ঘৃনা করি। তারপরও সমস্ত ঘৃনা আর গ্লানির অবসান না হতে নিঃশেষিত হবে আঁখি জল, তখন কেবলই চিরন্তন থাকবে সত্য। তবে এটিও সত্য যে- চোখ নামক অথৈ সমুদ্রের জল এক সময় নিঃশেষ হয়।তখন আর কিছু কি সেখানে থাকে? থাকে !! তীব্র ক্ষোভ আর হিংস্রতা। তবে এই অনুভূতি ন্যায়-অন্যায় প্রশ্নের উর্ধ্বে...


তনুর তরে কবিতা
১.

আমি উপন্যাসের শেষ অংশে নায়িকার মৃত্যু চাইনি।
আমি চেয়েছিলাম তাকে বাঁচাতে-
সে-ও বাঁচতে চেয়েছিল,
মঞ্চস্থ করতে চেয়েছি,
একটি বিদ্বেষহীন পৃথিবী।
পিতামাতাকে আশ্রয় দিতে চেয়েছিল চোখের নীড়ে,
সে চাইতো তাকে নিয়ে হাজার উপন্যাস রচনা হয়ে যাক;
কিন্তু তার মৃত্যু'ত প্রথম উপন্যাসেই !
২.
আমি আমার উপন্যাসে কলঙ্কিত চরিত্র আনতে চাইনি।
কিন্তু আকস্মিক তারা এসে পড়েছে
লুট করেছে নায়িকার সম্ভ্রম-
টেনে-ছিঁড়ে-খুবলে খেয়েছে তার মাংস পিণ্ড।
কোথাও কোথাও লজ্জা ঢাকার আবরনটুকু উঠে গেছে,
নরপিচাশ-ইবলিশ-মাংসাশীদের ক্ষুধায়।
আর নারী শিক্ষায় ব্রতী আমার নায়িকাকে তিলে তিলে গড়া দেহখানি নিয়ে-নিথর হয়ে থাকতে হয়েছে কালো অন্ধকারে
৩.
এখন আমার উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আমি।
একজন সন্ত্রাস।শুধু অস্ত্র চাই;
প্রতি বুলেটে হত্যা করতে চাই,
আমার নায়িকার সম্ব্রম লুটকারীদের;
আমার সন্ত্রাসীপনায় নারী যদি পেয়ে যায় বেঁচে থাকার শ্বাস,
ক্ষুধিরামের মতো মৃত্যুর পর আমাকে বলা হবে না আর লাশ।
৪.
আমি শোষক।
মাথা উঁচু করে অন্যায়ের দ্বারে থামি।
আমি মানুষ না!!আমি মানবিক।
আমিই আমি।।

0 comments: