আমি বিজয়
ভালোবাসি
তাইতো শতাব্দীর পরে বিজয়ে ফিরে আসি।
বিজয় পেয়ে শিখেছি আমি
অনাবিল হাসতে।
বিজয় পেয়ে শিখেছি আমি
অন্তহীন ভালোবাসতে।
বিজয়- আমার অন্ধত্বকে হার মানিয়ে
দেখিয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড
বিজয়- আমার অচঞ্চল হাতকে ছোঁয়ে করেছে
প্রথমা আকাশ বিদীর্ন।
কিন্তু বিজয়ের গৌরিন্ন ভুলে
আমি হত্যা করেছি-
একদল ফুল কুড়ানো পথ শিশু
কখনো বা আমি হত্যা হয়েছি
উগ্রবাদী-মৌলবাদী-নাস্তিক আখ্যায়িত হয়ে
আমাকে উলঙ্গ রাস্তায় জানোয়ারের ন্যায়
জবেহ করা হয়েছে।
আফসোস!
আমার চোখে ওরা বিজয় দেখেনি।
কিন্তু-
আমি ওদের চোখে পরাজয় দেখিছি
ভয় দেখেছি
আতঙ্ক দেখিছি
তবুও আমি অস্ফুটে একবারও বলতে পারিনি।
আমি বিজয়ী; রন্ধ্রে নেই আমার পরাজয়।
আমি বিজয় ভালোবাসি
তাইতো শতাব্দীর পরে বিজয়ে ফিরে আসি।
ফিরে এসে- নিছক কোনো তোপধ্বনি নয়
নয় কোনো মহাবিপদ সংকেত
চোখ উপড়ে দেই অদম্য ব্যক্তিত্ব ও সাহসের
যে কিনা তার বিজয় ভরা উন্মাদ যৌবন দাবদাহে লিখে-
“আমি প্রস্তর হয়ে মরলাম উদ্ভিদ হতে
উদ্ভিদ হয়ে মরি, তো উত্থিত প্রাণে
মানুষ হয়ে উঠলাম পরে, যখন সত্য উদ্ভাসিত হলো
ভয় কিসের? দ্বিধা কেন মৃত্যুতে?”
সে তার অনূর্ধ্ব আঠারোতে সব জঞ্জাল মুড়িয়ে
বিজয়ের রস আস্বাদনকারী বীভৎসের কথা
‘একজন শহীদের ময়নাতদন্ত’ শিরোনামে লিখে-
“ওরা ছুরি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দ্বিখণ্ডিত
করে কণ্ঠনালি
ওরা উল্লাসে দেখে; কীভাবে শরীর থেকে
বৃষ্টির মতো রক্ত গড়ায়—
ধারালো অস্ত্র দিয়ে; শরীরের চামড়া ছিলে নেয়
এবং দেখে ভেতরের মাংসপেশি ও হাড়গোড়।
ওরা টুকরো টুকরো করে হাড়গোড়,
খণ্ড-বিখণ্ড করে ফেলে; বীভৎস উল্লাসে।
ওরা সেই সব মৃত মানুষের মাংস খায়
বর্বর অন্ধকার যুগে যেমনি মানুষখেকোরা
ভক্ষণ করেছে তাদের স্বজাতিকে।”
বিজয় পেয়ে দেখেছি আমি
কীভাবে মানুষখেকোরা ভক্ষন করে
প্রিয়জনের স্তন, দূরদর্শীদের দৃষ্টি
ছেলেহারা বাবার দুচোখ বেয়ে
বয়ে চলা অবিরাম বৃষ্টি।
বিজয় পেয়ে দেখেছি আমি
লাল-সবুজে চোখ বেঁধে; সৌন্দর্য-কুৎসিতের মাঝে
পুরো পৃথিবী আমিময়।
বিজয় পেয়ে দেখেছি আমি
অত্যাচারীর শাস্তি হয় না; শাস্তি হয় অত্যাচারিতের
সত্যের শাস্তি হয়; মিথ্যের নয়।।
0 comments: