একটি প্রনয়ের মৃত্যু হবে
তাই আজ- এত আয়োজন
এত সবিনয়, এত অভিনয়
এত আবেদন, এত নিবেদন
উৎসর্গ নেই, তবে মুখশ্রী রংচটা
ক্ষতি নেই, তবুও পরশ্রীকাতরতা
কিন্তু সেই অসীম শ্রাবণ সন্ধ্যাতো এমনটি বলে না
নদীর পানিতে লেপ্টে যাওয়া বালুকণার দলও তো অন্তহীন ভাবেনি
হাজারো অসুখের মাঝে
এভাবে কি লেখা হবে একটি প্রনয়ের প্রয়ান
কি ছিল না এ প্রনয়ে?
তোমার ঠোঁট কি মিশে যায়নি
আমার ঠোঁটে অভয়মিশ্রিত ভয়ে
আমি কি সলাজ চোখে চিৎকার করিনি
বাঁধভাঙা জয়ে
তারপর তুমি যে আমাকে কতবার চিমটি কেটেছ
এখনো আমার সেগুলো গোনা।
তোমার চিমটিতে কেমন জানি
একটা করুনার উদ্রেক ছিল।
কারন ওরা বসেও বসে না
আমি চাইতাম, ওরা স্থায়ীভাবে আমাতে বসে যাক,
আমাতে বাস করুক
না হয় আজীবন আমাতে নির্বাসিত হোক।
কিন্তু তুমি চাইতে না
বরং আমাকেই আপন দেহ ভাবতে
নিজ দেহকে কষ্ট দেয়া যায়,
কিন্তু আপন দেহকে কষ্ট দেয়া বিধান বিধানবহির্ভূত
তুমি বিধান-অবিধানের অমানিশায় কতবার পথ হারিয়ে সহ্য করেছ রবীন্দ্র যাতনা,
সহেছ অসহ্য বিভিষিকা
আমি জানি।
ওগো,
আমি তা জানি
তুমি সহস্রবার আমার কাছে না এসে
আমার কাছে না বসে
আমাকে স্পর্শ না করে
নির্দ্বিধায় বলে দিয়েছ- আমার গাঁয়ের উত্তাপ
এক একটি সন্ধ্যায় আমার চোখের পানে তাকিয়ে তুমি এনে দিয়েছ
কখনো বৃষ্টি, কখনো বর্ষা
কখনো শরৎ, কখনো হেমন্ত
কখনো শীত, কখনো বসন্ত
অথবা শত বছরের সুধামিশ্রিত ঘুম
সে কি আমার অজানা!
তুমি সময়কে কোণঠাসা করে লৌকিকতার চাদরে বড্ড বেশি ভালো থাক
অভিমানগুলোকে অভ্যর্থনা দিয়ে পালহীন নৌকোয় উঠিয়ে দাও
আর ঠায় দাঁড়িয়ে স্বচ্ছ নয়ন জলে দিগন্ত ঝাপসা হয়
বৃষ্টি নয়; বজ্রপাতের ঘনঘটা
হৃদয় মেঠুপথ; যেখানে তোমার বিচরণ সর্বাগ্রে
সেথা আজ চৌচির, খন্ড-বিখন্ড, তৃষ্ণার্ত
এ-ই সে পথ
যে পথে হেটে হেটে আমি তোমার জন্য হাজারটা পদ্য রচনা করেছিলাম
মনে আছে তোমার?
প্রতিটি পদ্য আজ মাটিতে আঁটিসাঁটি হয়ে মিশে আছে
নৌকা বানিয়ে বৃষ্টির জলে ভাসিয়েছ আমার নিষ্পাপ পঙক্তিমালা গুলোকে
কিন্তু এই পঙক্তির জন্যই তো তুমি
কোনো এক কালে আধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে
মেঠুপথের শেষটায় দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিতে
সে স্মৃতি কি ভুলে যাওয়ার?
তুমি আমাকে ঘিরে প্রদক্ষিণরত এক স্বপ্নাতুর প্রনয়
যেথা আমি পেয়েছি পুরো পৃথিবীর অধিপতি হওয়ার সাধ
যেথা আমি পেয়েছি তুমিময় পুরো পৃথিবীতে আমিত্বের অস্তিত্ব ঘ্রাণ, চেতনা।
0 comments: