দু মেরুর দূরুত্বে বিস্তৃত এ পৃথিবীততে
আমি ইউক্যালিপটস হয়েও অবকাশ যাপন করি
শুধু সুবিশাল আকাশ আর আকাশ ভরা তারা
আমাকে আন্দোলিত করে
মাঝে মাঝে মিষ্টি বাতাস দল তার সঙ্গী হওয়ার আহ্বান জানায়
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে শিকরের টানে আবার ফিরে আসি
রোদ্র আর পাখিদের সাথে মিতালি আমার প্রত্যহ
কিন্তু তারা ক্ষনিকের জন্য আমার চৈত্যনকে মুখরিত করে
ভোরের সোনালি রোদে-
যখন আমার রিষ্ট-পুষ্ট হওয়ার প্রাদুর্ভাব চলছে
তখন হঠাৎ অজানার সুর আমাকে মৃত্যুর দুয়াড়ে নিয়ে যায়
মায়ের ভালোবাসায় আবার ফিরে আসি।
পাখিদের কথায় আসা যাক
আমি রাজমুকুট পরে স্বমহিমায় স্থির কিন্তু খানিকটা চঞ্চল
তারা দক্ষ নতুর্কির ন্যায় তাদের উড়নচণ্ডী নৃত্যে
আমাকে বিমোহিত করে
আমি স্বপ্নলোকে হারাই
তাদের স্পর্শেই আমার বিভোর স্বপ্ন ভাঙ্গে
আমি তাদের নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনি
তারা আমার দেহ কুঠিরে ঘর বাঁধে
সমগ্র শীতলতা আর উষ্ণতা তাদের তরে আমি সমর্পণ করি
আমার দেহে তাদের আগলে রাখি
কিন্তু আকাশের অঝর কান্নায় বা সমুদ্রে জন্ম নেওয়া ভারি বাতাসে
তারা আমার পাশে থাকে না
আমাকে আগলে রাখে না
পালিয়ে প্রান বাঁচালেও আমার খোঁজে আর আসে না
আমাকে বেঁচে থাকতে হয়;
আমার প্রানের জন্য আর আমার ভালবাসার জন্য
মিনতি আজ এই দ্বিখন্ডিত পৃথিবীতে
একটি প্রশস্ত বাহু চাই
যে বাহু ডোরে বন্দী থাকব আজীবন
যে বাহুর শিকলের ফাঁকে দেখা যাবে
পাখির মুক্ত উল্লাস আর বৃষ্টিস্নাত কদমের লাবন্যতা।
আরো চাই একটি প্রশস্ত হৃদয়
যে হৃদয় সমুদ্র কল্লোলে পালহীন তরী অনায়াসে গৌন্তব্যে পৌঁছে দেয়
যে হৃদয় ভালোবাসার মৃত্যুতে নিথর হয়।
সমস্ত প্রানের দাবীটুকুতে যখন বশীভূত এ ফাঁদ
একটি প্রশস্ত হৃদয়ের তরে শুধু আর্তনাদ।
0 comments: