ঐ দিন দুপুরের খাবার খেয়ে ভাত ঘুম দিয়েছি। কে যেন আমার পাশে এসে বলে, ঐ হারামজাদা, খাস আর ঘুমাস। হোয়াইট হাউস কি তোর বাপে চালাইব?
আমি লাফ দিয়া উঠে দেখি, স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প সালমান খানের মতো তেরে নাম কাট দিয়া ওমর সানির মতো হাটু ঘেরে বিছানার এক পাশে বসে আছে। আমি একটু অবাক হলাম আর ভাবলাম। এই বুড়া বয়সে ওনারে আবার ভীমরতি পাইছে কিনা। আমারে আবার প্রেম নিবেদন করে বসবে না তো।
পরে জানা গেল, ওনার বউয়ের সাথে ওনার দুসপ্তাহ যাবৎ বনিবনা হচ্ছে না। উনি একটা স্থায়ী সমাধান চায়। উনি নাকি জেনে এসেছেন, বাংলাদেশে এ ধরনের সমস্যায় জর্জরিত ভিকটিমগন সুলভ মূল্যে সুর্বোচ্চ অত্যাধুনিক চিকিৎসা পেয়ে থাকে। সাকসেস রেটও ভালো। এ কারনেই ওনার বাংলাদেশে আসা।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, তা মশাই, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন থাকতে, আপনি আমার বাসায় কেন?
উত্তরে তিনি বলেন, আরে মিয়া, সব কাজ সবাইরে দিয়া হয় না?
তার এ কথা শুনিয়া নিমিষেই উইথাউট কারো পারমিশনে অটো আমার কয়েকটা ক্রেডিট উপর্যুপরি বাড়িয়া গেল। উপায়ন্তর না পেয়ে মনে মনে ভাবলাম, উনারে একটু পা ধরে সালাম করি। পরে আর সালাম করা হয়নি। তবে সালাম না করার আক্ষেপটা রয়েই যায়।
তিনি আরো বললেন, আরে মিয়া, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে থেকে কি এ ধরনের চিকিৎসা নেয়া যায়? লোকে জানাজানি হলে, তোমার ভাবি আমারে আস্ত রাখব? তার উপর আবার সাংবাদিকদের গ্যাঁনগ্যানানি-প্যানপ্যানানি।পারে না বেড রুমের খবর পর্যন্ত বের করে নেয়।আমি তো তোমার ভাবির কাছে এক চিল্লার নাম কইয়া বেরিয়ে আসছি। সে যদি জানে আমি এ ধরনের আকাম-কুকাম করার জন্য দেশে বিদেশে ঘুরাঘুরি করতাছি। তার উপরে যদি আরো জানে তাবিজ-তুমারের তীর্থস্থান- বাংলাদেশে! তাইলে আমারে দিয়া হাড্ডি মে কাবাব বানাইব।
আমি ব্যাচেলর মানুষ। তবুও বাঙালি অতিথিপরায়ণ; এই পরিচয় দিয়ে এক বাটি চিড়া ও এক মুঠো গুড় বের করে দিলাম। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়ে আয়েশ করে খেলেন। মনে মনে ভাবলাম, আহারে লোকটারে তার উয়াইফ কতই না কষ্ট দেয়। দুবেলা পেটপুরে দুমুঠো খেতে দেয় না। কি লাভ এই বিয়ে করে? আহারে জীবন, আহারে কষ্ট।
ট্রাম্প সাহেব ইতিমধ্যে খাওয়া শেষ করে, আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ঐ মিয়া আপনার সাথে জ্বীনভূতের আছড় আছে নাকি। বলা নেই, কওয়া নেই, কতক্ষন পরপর কই যান। বিয়াসাধি না কইরাই এত টেনশন! বিয়া করলে তো উত্তর-দক্ষিন খুঁজে পাইবেন না। উঠেন, উঠেন বাহির থেকে একটু ঘুরে আসি। মেজাজটা ফুরফুরা হইয়া যাইব।
সুগন্ধি মেখে আমরা দুজন একসাথে বের হলাম। কিছুদূর হেটে দেখি ট্রাম্প সাহেবের মুখবর্ন দুধের ন্যায় ধবল থেকে মিশের ন্যায় কালো হয়ে গেছে, বড় বড় দম নিয়া কুল পাইতাছে না, মনে হয় এখক্ষুনি বুঝি দম গেল, অক্সিজেন লাগাইতে হইব। পাশের ফুটপাতে বসাইয়া পাঁচ টাকা দামের দুইটা কলকি আইসক্রিম খাওইয়া ঠিক করছি। সাথে এই বলে মানতও করছি, তিনি যদি ভালো ভালো ঠিক হয়ে যান, তাইলে আমি মসজিদে শিন্নী দিমু। যাক, শিন্নীর খরচ বাইচা গেছে।
এখন বাসায় আসার পালা। ভাগ্যদেবতার
আর্শিবাদে একটি রিকশার দেখা পাওয়া গেল। তারপর আমি ও রিক্সাওয়ালা ড্রামের মতো ওনারে টেনে-হেঁচড়িয়ে রিকশায় তুললাম। কতক্ষন রিকশা চলার পর, রিকশাওয়ালা বিপদ সংকেত দিলেন, মামারা শক্ত হয়ে বসেন। সামনে বিপদ আছে। এ কথা শুনিয়া ট্রাম্প মশাই রিক্সার থেকে এক লাফ দিয়া নেমে দিলেন দৌঁড়। তার পিছ পিছ দিলাম আমি দৌঁড়। আমার পিছ পিছ দিল রিক্সাওয়ালা
দৌঁড়। শহরের অলগলিতে আমাদের তুমুল দৌঁড়-দৌঁড়ী চলছে। সবাই হা করে তাকিয়ে দেখছে। কেউ কেউ হাততালিও দিয়ে এই প্রতিযোগিতাকে আর বেশি বেগবান করছে। আমারা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও মানুষের অপার ভালবাসা পেয়ে জীবন-যৌবন ব্যয় করে দৌঁড়ে যাচ্ছি। এলাকার যুব সমাজ ভাবছে আমরা ম্যারাথনের রিহার্সেল করছি। এই ভেবে অনেক আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে। তাছাড়া শহরের বড় অংকের ডায়াবেটিস রোগীরও অসহযোগ আন্দোলনের ন্যায় দৌঁড় প্রতিযোগিতায় আমাদের সাথে শামিল হয়েছে। হায়রে দৌঁড়ানি কারে কয়! কেউ লুঙ্গি খুলে, কেউ হাতে নিয়ে, কেউ মাথায় নিয়ে, সে কি দৌঁড়ানি! দু চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাটা কষ্টসাধ্য। কেউ বা আবার উর্ধ্বাংশ ও নিনমাংশের সমস্ত লেবাস খুলে পুরো দৌঁড় প্রতিযোগিতায় তার একটি একচ্ছত্র প্রভাব এনেছে। এভাবে ঘন্টাখানেক দৌঁড়-দৌঁড়ী করার পর ট্রাম্প মশাইকে দেখি কারেন্টের খাম্বার সাথে বাড়ি খাইয়া চিতল মাছের মতো চিত হয়ে পড়ে রইছে। আমরা তারে ধরাধরি কইরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। ফরমালিনযুক্ত ফলফলাদি খেয়ে ট্রাম্প সাহেব এখন একটু সুস্থ।
এসব কান্ডকৃর্তী
দেখে এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মুরুব্বিরা বলিয়া উঠিল, এই বুইড়া ইতরটায় পোলাপাইন গুলারে উস্কানি দিছে। আগে ঐ বদমাইশটারে ধইরা আন। ওর কানের লতিটা টাইননা লাল কইরা দেই। অসভ্যটার এত বয়স হইল, বাঁধরামি আর গেল না। শেষমেষ কারেন্টের খাম্বার সাথে বাড়ি খাইয়া, হসপিটালে গিয়া ভর্তি হইছে। এবার যদি ওর একটু আক্কেল হয়।
সপ্তাহখানিক বাদে তারে নিয়া গেছি "এলাহী বাবার" কাছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে যিনি আবার "মাল বাবা" নামে পরিচিত। কারন তিনি আসনে বসার পর মাল ব্যতিত কোনো ক্লাইয়েন্টের
সাথে কথা বলে না। তখন আমরা পাঁচশত টাকার একটি চকচকে নোট তার আসনে রাখলাম। তিনি কথা বলতে শুরু করলেন, তুই নাকি ডোনাল্ড জাম্প?
কালকে নাকি জাম্প দিতে দিতে কারেন্টের খাম্বার সাথে ঠুয়া খাইয়া চিত হইয়া পইড়া আছিলি। ঘটনা কি সত্য?
- সত্য। তবে ঘটনা অতি তুচ্ছ। কি থেকে যে কি হইল। কিছুই আন্দাজ করতে পারি নাই।
- পারবি কেমনে? তুই তো একটা ছাগল। ছাগল না হইলে তুই তোর বউয়ের ভয়ে হোয়াইট হাউস ছাইড়া পালায় আসছস। এখন বল, বউরে এক তালাক দিবি নাকি বাইন তালাক দিবি?
- তালাক দিমু না। তবে আমাদের মাঝে অন্তরঙ্গতা বাড়াতে চাই। এর একটা বন্দোবস্ত করে দেন।
- এ কাজে আমি সিদ্ধহস্ত। তোর চাওয়া পূর্ন হয়ে যাবে। এই নে তেজপাতার বড়ি। তোর বউরে বলবি- এই বড়ি যামির আক্কেলদাঁত দিয়া চাবাইয়া খাইতে। দেখবি- দিনদশকের মধ্যে তোদের মাঝে দহরম মহরম বেড়ে যাবে।
সেদিনের মতো বুকভরা আশা নিয়ে আমরা মাল বাবার দরবার ছাড়ি। এক সপ্তাহ পর শিডিউল অনুযায়ী আবার আমরা বাবার দরবারে যাই। গিয়ে দেখি এলাহী বাবার এলাহীকান্ড। তিনি কৃষ্ণ বরন মুখ করে দরবারে বসে আছেন। পুরো দরবার ভাবগাম্ভীর্যপূর্ন। কেউ কোনো কথা বলছে না। আশেপাশে একটু খোঁজ নিয়ে জানলাম, আজ সকালে বাবার বউ বাবারে পাতিল দিয়া পিটাইয়া, বাবারে বাইন তালাক দিয়া, আরেক বেটার সাথে ভাইগা গেছে। এখন বাবা বউয়ের শোকে কাতর। বাবার এখন কিচ্ছু ভালো লাগে না। আজকে থেকে বাবার মালের ব্যবসা ক্লোজ। বউই নাই মাল দিয়া আর কি হইব। আপনারা অন্যখানে গিয়া চিকিৎসা লন। এখন যান। মন-মেজাজ যথেষ্ট খারাপ আছে।
কি আর করার এখানে যেহেতু কাজ হল না, তাই মশাইকে নিয়ে গেলাম " হেকীম দাওয়াই খানায়। " দাওয়াখানায় ঢুকেই দেখি, দাওয়াইখানার প্রধান হেকীম রবীন্দ্রনাথের মতো সাদা একখানা আলখাল্লা পইড়া নিবিড় মনোযোগ সহকারে পাটিগণিত করতাছে। আমরা সালাম দিয়ে ওনার পাশে বসলাম। উনি মৃদু সুরে সালামের জবাব নিয়ে সগীরকে ডেকে বললেন, মেহমানদেরকে এক গেলাস করে, দুজনকে দু'গেলাস চিরতার রস দে। কিছুক্ষন পর সগীর চিরতার রস নিয়ে এল, আমরা চোখ-মুখ বুজে খেয়ে নিলাম। রস খাওয়ার পর থেকেই দেখি ট্রাম্প মশাই আর কথা কয় না। শুধু ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকে। হেকীম সাহেব এসব দেখে বলে, কই থেকে যে এসব আধপাগল পাবলিক আসে। খাওয়াইলাম চিরতার রস, এখন মসিবত আমার! বেকুবটারে আমার গোপন কামরায় নিয়ে আস। ও কথা কইব না ওর বাপে কথা কইব। পরে ট্রাম্প সাহেবকে আমরা ধরাধরি করে গোপন কামরায় প্রবেশ করাই। হেকীম সাহেব বিভিন্ন বইপত্রাদি ঘটে, এর একটা সল্যুউশন বের করল। ট্রাম্প সাহেবকে কষিয়ে আড়াইশ চড় মারতে হইব। তাইলে ওনার মুখ দিয়ে কথা বের হইব।
আমি একটু রাগান্বিত হয়ে বললাম, আপনি জানেন, উনি কে? উনি হচ্ছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
-আরে ধ্যুত, আপনার ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগে থাপড়াইয়া কথা বের করে নেই। সেফটি ফাস্ট।
আমি বললাম, তা ওনারে থাপড়াইব কে?
- কে আবার? আমি, আপনি আর সগীর। আপনি মারবেন পঁচাশিটা, আমি মারব তিরাশিটা, সগীর মারব বিরাশিটা। এই হইল টোটাল আড়াইশ। হিসাব বুঝছেন?
- আচ্ছা, তাইলে আগে মারব কে?
- সগীর।
সগীর আপন মনে মারতে শুরু করল। চপাত চপাত করে সগীরের কখনো ডান হাত কখনো বাম হাত- বসে যাচ্ছিল ট্রাম্প সাহেবের গালে। তবে সগীরের থাপড়ানোর স্টাইলে একটা অন্যধরনের আবেদন ছিল। যেন সে সদ্য রামায়ণের করুন ইতিহাস পড়ে এসেছে। প্রায় আধাঘণ্টা ব্যয় করে সে তার নির্ধারিত বিরাশিটা থাপ্পড় কোনো বিরতি ছাড়াই সফলতার সাথে শেষ করল। এখন বোনাস হিসেবে তিনি আরো কয়েকটা থাপ্পড় দেয়ার আকুল সবিনয় আবেদন জানাল। কিন্তু সগীরের এই আকুল আবেদন যথাবিহীত সম্মানপ্রদর্শন পূর্বক এজলাসে গৃহিত হইল না।
এখন আমার থাপড়ানোর পালা। আমিও কান চাপাইয়া কতক্ষন দিলাম। মালুম কোথাকার। আর মানুষ খুইজা পালি না। আমার কান্ধে আইসা তোর পরতে হইল। এমনিতেই নিজের ঝামেলা মিটাইয়া কুল পাই না। তুমি আসছ নতুন ঝামেলা নিয়া। এখন বুঝ ঠেলা।
আমার থাপড়ানো শেষ হলে দাওয়াইখানার
প্রধান হেকীম তার দুই উদ্বাহ বাহু প্রসারিত করে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো এগিয়ে এসে এসএম ধনীর ন্যায় এমন এক হেলিকপ্টার চটকানা দেয়। এক চটকানায়ই ট্রাম্প মশাই তার হারিয়ে যাওয়া বাকশক্তি ফিরে পায়।
অতঃপর তাকে একটি মেরিন্ডা খাইয়ে বাসায় নিয়ে আসি। কি থেকে কি হচ্ছে, ট্রাম্প সাহেব কিছুই ঠাওর করতে পারছে না। শেষ রাতে দেখি ট্রাম্প সাহেবের গাঁয়ে জ্বর আসছে। থাপ্পড় তো আর কম খায়নি। কি আর করার। জরের শরীরে উঠাইয়া বাথরুমে নিয়া উল্টা গোসল করাইছি। তারপর ক্যাস্নার ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ প্যারাসিটেমল;
দুই পিছ একসাথে খাইয়ে তাকে সুস্থ করি।
এদিকে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা তাদের আধা পাগল প্রেসিডেন্টকে
না পেয়ে পুরো পৃথিবীটাকে মাথায় তোলে নিয়েছে। তারা ভাবছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উনং হয়তো তাদের প্রেসিডেন্টকে ঘুম করে দিয়েছে। তাই তারা আরেক আধা পাগলের সাথে নতুন কোনো ঝামেলা বাঁধাতে চায় না।
এভাবে তাকে অনুসন্ধান করা বিহীন একটি বছর কেটে গেল। এদিকে মশাইকে নিয়ে একের পর এক বিপদের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। একের পর এক ঝামেলা লেগেই আছে। তাকে নিয়ে আর না পেরে আমি বাসা থেকে নিশি রাত্রিতে পালিয়ে আসি। পরে লোকজনের থেকে শুনতে পাই। বাড়িওয়ালা নাকি আমার বকেয়া তিন মাসের বাড়ি ভাড়া তার থেকে উসুল করে বাসা থেকে বিদায় করে দিছে।
তারপর প্রায় এক বছর তার কোনো সংবাদ পাইনি। বেচে আছে নাকি মরে গেছে?
কয়েকদিন পরে হঠাৎ এক টিভি চ্যানেলে ট্রাম্প মাশায়কে আব্বাস বয়াতির সাথে বয়াতি গান করতে দেখি। তিনি গাইছে-
"বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
আমি খালি চিন্তা করি, আমি খালি চিন্তা করি
আমি কুতা করবার নাই
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়।
বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
একে তো অভাবের সংসার জমানো কঠিন
খাইয়া-বাঁইচা চলা যায় না, করিতে হয় ঋণ
মা-বাপ যেমন রাইত-দিন
ভাবন খালি আমার দায়
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
আমি খালি চিন্তা করি, আমি খালি চিন্তা করি
আমি কুতা করবার নাই
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়।
কি দিন গেল তিনচার খান বাবাজান গেলাম
কম দামে নি দামান মিলে খুঁজিয়া চাইলাম
সনের ঘরে থাকে জামাই, তবুও টেলিভিশন চায়
বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
আমি খালি চিন্তা করি, আমি খালি চিন্তা করি
আমি কুতা করবার নাই আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়।
কি পাপ করলাম ভাবি মাইয়া জন্ম লইয়া
মা বাপের ডকাতি করলাম জনমের লাগিয়া
জমি বেঁইচা দিলে বিয়া
শেষে তার আর কি উপায়
আমারে ঠেকাইছুন
আল্লায় বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়
নারী পুরুষ সমান অধিকার শুনি শুনা শুনা
এ ব্যাপারে কি করা যায়, তাই করি ভাবনা
এ করিম কয়, দুঃখের বিষয় মাইয়ার বাপ যে নিরূপায়
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়"
বড় ভাবি গো, ভাবি
আমারে ঠেকাইছুন আল্লায়।"
0 comments: