আমি এমন কাউকে চাই যে কিনা নতুন আর পুরাতনের মিশ্রন যাকে ছোঁয়ে দিলে আটাশ বয়সী প্রাণ নিমিষেই আঠারোতে এসে গড়াগড়ি খায় শৈশবে এসে নাচিন...
আমি এমন কাউকে চাই
আমি এমন কাউকে চাই
যে কিনা নতুন আর পুরাতনের মিশ্রন
যাকে ছোঁয়ে দিলে আটাশ বয়সী প্রাণ নিমিষেই আঠারোতে এসে
গড়াগড়ি খায়
শৈশবে এসে নাচিনাচি করে
অল্পতে ভায়না ধরে
কিংবা হঠাৎ পঞ্চাশোর্ধ বয়োজ্যেষ্ঠের ন্যায় একগাদা অভিজ্ঞতার ফুলঝড়ি শুনায়।
গুরুগম্ভীর থাকে অকারন
ভুলেও ত্রুটি করা যাবে না
এমন বাধ্যবাধকতা সবখানে
আমি ঠিক তেমিন কাউকে চাই।
আমি এমন কাউকে চাই
যার শরীর থেকে পুকুরের শেওলা জমা পানির গন্ধ আসবে
আবার এই শরীর থকেই গন্ধ আসবে ইট-কংক্রিটে ঘেরা আবদ্ধ পানির।
আমি ঠিক এমন কাউকে চাই।
আমি এমন কাউকে চাই;
যে তিরাশি বছরের দাম্পত্যে একবারও আমাকে তুমি বলে ডাকবে না
আপনি বলেই সম্বোধন করবে।
আবার সেই মানুষটিই;
তুচ্ছার্থক তুই সর্বনামে আমাকে হাজার বছরের
তার একক উত্তরাধিকারী করে নিবে।
আমি ঠিক এমন কাউকে চাই।
আমি এমন কাউকে চাই
যে সবকিছুরই সুন্দর একটি অর্থ খুঁজে।
আমি এমন কাউকে চাই
যে প্রেম নয়; প্রণয় ভালোবাসে।
বিনয়, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সম্মানবোধ ও নম্রতা ইত্যাদি শব্দগুলোর অর্থগত ব্যাপ্তি, বাচন, উচ্চারণ অত্যান্ত সুন্দর, হৃদয়ে অনুরন সৃষ্টি করে।...
বিনয় নিয়ে যৎসামান্য
বিনয়, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সম্মানবোধ ও নম্রতা ইত্যাদি
শব্দগুলোর অর্থগত ব্যাপ্তি, বাচন, উচ্চারণ অত্যান্ত সুন্দর, হৃদয়ে অনুরন সৃষ্টি
করে। ভদ্র-অভদ্র, বিশেষ-অবিশেষ, ইতর-বদমাইশ সকলেই শব্দগুলোর গভীরতা অনুধাবন করে। সুতরাং
সমাজেও এ শব্দের প্রায়োগিক প্রতিফলিত রূপ নির্বিশেষে বাড়ানো প্রয়োজন।
প্রসঙ্গগত একটি উদাহরণ লক্ষ্য করা যাক, রাজা প্রজাদের কাছ
থেকে বরাবরই ভালোবাসা ও সম্মান পাওয়ার দাবিদার। তেমনি প্রজারাও মহামান্য রাজার
প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের অংশীদার। কিন্তু রাজার প্রাপ্য ভদ্রতা ও
প্রাপ্য সম্মানটুকু দেখাতে গিয়ে প্রজারা নিজের স্বকীয়তা হারাবে, নিজকে ছোট করবে,
খাটো মনে করবে, মনে মনে নিজকে নিজে নিজের নগণ্যতার স্মারকলিপি দিবে; তা কোনভাবেই
ঠিক নয়।
নিজকে তুচ্ছ বা অবমূল্যায়ন করে অন্যকে মর্যাদার আসনে সমাসীন
করার নামে যে ভদ্রতা- বিশেষ অর্থে তা অভদ্রতা তথা চাটুকারিতা।
কোন ব্যক্তি পদমর্যাদায় বা স্ট্যান্ডার্ড আপনার থেকে এগিয়ে
থাকতেই পারে। তার প্রতি ভদ্রতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন; আপনার মানবিক
গুণের পরিচায়ক। তাই বলে ভদ্রতার নামে অতি ভদ্রতায়, বিনয়ের নামে অতি বিনয়ে তার কাছে
নিজকে নগন্য ভাবার কোন অবকাশ নেই। আপনি আপনার পৃথিবীর সম্রাট। আপনাকে নিয়ে আপনার
একটি একক, অদ্বিতীয় জগত। সে জগতের একচ্ছত্র অধিপতি আপনি। সে জগতের অধিপতি যদি আপন
স্বত্তা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। তাহলে সে সম্রাজ্যের বিবর্তনের হাওয়া-বদল ঘটাবে কে?
যেখানে সম্রাজ্যপতি নিজেই নিজের সত্ত্বা নিয়ে কুন্ঠিত।
কাউকে শ্রদ্ধা করা বা কারোর প্রতি বিনয়ী হওয়ার মানে এই নয়
যে তার সামনে ভদ্রতার নামে কাঁচুমাচু করা, মাথা নিচু করা, নিজকে অপর্যাপ্ত বলে মনে
করা অথবা নিজকে নিছক বা অবিশেষ কেউ ভাবা।
শ্রদ্ধার নামে কারো প্রতি অতি বিনয়ী হওয়া বা অতি ভক্তি
প্রদর্শন করা অথবা আপন সত্ত্বাকে নগণ্য মনে করা বা সর্বসাকুল্যে নিজকে অবিশেষ করে
তোলা; স্রেফ কেতাদুরস্ত চাটুকারিতা।
এ প্রসঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের বক্তব্যটি মনে করা যায়, “অনেক সময় খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে নিজের সত্যেকে অস্বীকার করে
ফেলা হয় । তাতে মানুষকে ক্রমেই ছোট করে ফেলে, মাথা নিচু করে আনে; ও রকম মেয়েলি বিনয়ের
চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো।”
আমি নিজ চোখে আমার মৃত্যু দেখেছি দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয় ...
আমার স্বপ্ন
আমি নিজ চোখে আমার মৃত্যু দেখেছি
দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে
আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয়
হাজার বছরের দিনলিপি লেখা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে
আমি দেখেছি!
দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে
আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয়
হাজার বছরের দিনলিপি লেখা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে
আমি দেখেছি!
দেখেছি- আমার ফুটন্ত কৈশোরে জীবন্ত পানি নয়; বিষাক্ত কীটনাশকের
সেচ।
একটি ফানেলে আমার প্রাণেকে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার প্রয়াস।
তর্জনীতে বারবার আমার প্রাণে আঘাত;
আমি দেখেছি! আমি দেখেছি!
একটি ফানেলে আমার প্রাণেকে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার প্রয়াস।
তর্জনীতে বারবার আমার প্রাণে আঘাত;
আমি দেখেছি! আমি দেখেছি!
ধরি, আমার স্বপ্নগুলো দামি নয়; তবে মূল্যহীন কিসে?
না হয় পূর্বপুরুষদের আবহমান আতিথেয়তাই বাঁচে থাকতাম!
স্বজনপ্রীতির এই দেশে না হয় সৌজন্যতাই বাঁচে থাকতাম!
কৃষ্ণচূড়ার এই শহরে না হয় কৃষ্ণচূড়ার মতোই বাঁচে থাকতাম!
শুধু বেঁচে থাকলেই- কিছু না হলেও; কিছু তো একটা হতো।
সে একটাই দামি!
সে একটাই আর কেউ নয়; সে একটাই আমি!!
না হয় পূর্বপুরুষদের আবহমান আতিথেয়তাই বাঁচে থাকতাম!
স্বজনপ্রীতির এই দেশে না হয় সৌজন্যতাই বাঁচে থাকতাম!
কৃষ্ণচূড়ার এই শহরে না হয় কৃষ্ণচূড়ার মতোই বাঁচে থাকতাম!
শুধু বেঁচে থাকলেই- কিছু না হলেও; কিছু তো একটা হতো।
সে একটাই দামি!
সে একটাই আর কেউ নয়; সে একটাই আমি!!
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম ও দিয়া খানমের স্মরনার্থে।
প্রিয় চিঠি তোমাকে আর লিখা হয় না। তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না ; একান্তে কোনদিন প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে তুমিও তো কম ভুলনি আমায়। এক টু...
চিঠি
প্রিয় চিঠি
তোমাকে আর লিখা হয় না।
তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না; একান্তে কোনদিন
প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে
তুমিও তো কম ভুলনি আমায়।
তোমাকে আর লিখা হয় না।
তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না; একান্তে কোনদিন
প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে
তুমিও তো কম ভুলনি আমায়।
এক টুকরু কাগজ নিয়েও তো টিপটিপ পায়ে হেঁটে আসো নি; আমার উঠোনে
অতীতের গন্ধ ছড়িয়ে একটি শুকনো কলম হাতে বসাও নি পড়ার টেবিলে।
এত আনমনে হলে কি করে?
অতীতের গন্ধ ছড়িয়ে একটি শুকনো কলম হাতে বসাও নি পড়ার টেবিলে।
এত আনমনে হলে কি করে?
আমি না হয় ভুলেই গিয়েছি;
কিন্তু তোমার গায়েই তো আমার যত স্মৃতি।
সে স্মৃতি তুমি কিভাবে ভুলে গেলে?
সে স্মৃতি কি তোমায় পোড়ায় না!
একটুও কি ভাবায় না- এমন কারোর কথা
যে তোমায় প্রায়ই লিখত
প্রাণের কথা, পৃথিবীর কথা!
জ্যোছনার কথা, সমুদ্রের কথা!
সে স্মৃতি তুমি কিভাবে ভুলে গেলে?
সে স্মৃতি কি তোমায় পোড়ায় না!
একটুও কি ভাবায় না- এমন কারোর কথা
যে তোমায় প্রায়ই লিখত
প্রাণের কথা, পৃথিবীর কথা!
জ্যোছনার কথা, সমুদ্রের কথা!
আমার নির্মোহ অক্ষর অভিব্যক্তি শুধুই কি কালো জলের যত্রতত্র চিহ্ন
ছিল?
যা ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলা যায়?
যা মুড়িয়ে বৃষ্টির জলে ফেলে দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?
যেমনটি তুমি করেছ গেল বারোটি মাস!
যা ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলা যায়?
যা মুড়িয়ে বৃষ্টির জলে ফেলে দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?
যেমনটি তুমি করেছ গেল বারোটি মাস!
আমার আঙ্গুলগুলো তো এখনো দেয়ালে আঁকিবুঁকি করে;
তোমার শরীর কি এখনো নিস্তেজ শুয়ে থাকে; আমার আঙ্গুলের নিচে।
তোমার শরীর কি এখনো নিস্তেজ শুয়ে থাকে; আমার আঙ্গুলের নিচে।
Subscribe to:
Comments (Atom)
1 comments: