তাজরিন আত্নতৃপ্তির এক সুদৃঢ় নাম তাজরিন বর্নোজ্জ্বল এক প্রভাতে উদ্দাম স্বাধীনতার নাম তাজরিন কেবলই এক বিমুগ্ধ সুখানুভূতির নাম তাজরি...
এক আগন্তুকের আত্নকথন
যদি আমাকে জিজ্ঞেস কর , " আকাশ না দেখার অপূর্নতা কেমন ?" আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব , " আকাশ না দেখে বেঁচে থ...
আকাশ
আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব, "আকাশ না দেখে বেঁচে থাকা যায়?"
আকাশ আছে বলেই তো আমার বাঁচার স্বপ্ন।
তুমিহীনা আমি ঢের বাঁচতে পারি
কিন্তু আকাশহীনা!
কত গাঢ় তার রঙ!
কি অনন্য তার উচ্চতা!
যোজন যোজন দূরে থেকেও কেমন যেন উদার, সুশৃংখলতা।
ছোঁয়া যায় না; তবুও হৃদয়ের খানিক জায়গায় সুক্ষ্ম টান তার প্রতি
চির ধরে পুরো হৃদয় দ্বিখন্ডিত হওয়ার টান!
একটিবার হলেও যেন তাকে দেখতে হবে
এবেলা না দেখতে পেলেও যেন ওবেলা দেখি
দুমুঠো না খেয়ে হলেও যেন একমুঠো দেখি
কি এক নিয়মে যেন তাকে আমি দেখতে বাঁধা!
প্রভাতের আকাশ, বৃষ্টিস্নাত আকাশ
কালিমাখা আকাশ, সন্ধ্যা আকাশ
অপরাহ্নের আকাশ, নীলিমা মিশ্রিত আকাশ
মেঘে ঢাকা আকাশ, নক্ষত্রখচিত আকাশ।
তুমিই বল, "এতোশত আকাশ না দেখে থাকা যায়?"
এইতো সেদিন আকাশ দেখতে দেখতে বলেছিলাম, "তোমায় আকাশসম ভালোবাসি।"
আর তুমি!
পারলে চুকিয়ে দিও।
পরিনত প্রেম বরাবরই আমার অপ্রিয় তার চেয়ে বরং প্রেমের শুরুটাই প্রিয়। একটু যত্ন , দুরুত্বের উষ্ণতা , সামান্য ভয় , নিদারুণ অস্থিরতা। ক...
আমার প্রেম
তার চেয়ে বরং প্রেমের শুরুটাই প্রিয়।
একটু যত্ন, দুরুত্বের উষ্ণতা, সামান্য ভয়,
নিদারুণ অস্থিরতা।
কিছু স্বপ্ন, রক্তপ্রবাহে উন্মাদনা, খানিক সরলতা
আধেক ঘুম, আধেক জাগরন
অবেলা আনমনে মগ্নতা
আকুল হয়ে নিরন্তর বয়ে চলা
স্নিগ্ধ সরল চপলতা, সরেস রস
বেকুলতার আহাজারি, একটু ভুলা মন
নিছক অভিমান, অবুঝ খেয়ালিপনা
অজানা আনন্দ, অব্যক্ত কথা
অনুভূতির তোপধ্বনি, অনন্ত স্বাধীনতা
দিগন্ত জয়ের মুক্ত নেশা।
নির্ঘুম রাত, আকাসসম উদারতা
আদ্র মেঘের শিহরণ, মলয়সম ব্যথা
কখনো সাদৃশ্য, কখনো অদৃশ্য অসীম বোধ
হৃদয়ের অপাংক্তেয় শেকলে বন্দি করার উদ্বিগ্নতা
তাই প্রেম; আমার প্রেম!
অমর প্রেম, চির প্রেম।
শুনেছি মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয় কিন্তু আমার সাথে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা আমার সাথে হয়েছে একটি নদীর সম্পর্ক! তৃষ্ণার্ত দেহে...
সম্পর্ক
কিন্তু আমার সাথে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা
আমার সাথে হয়েছে একটি নদীর সম্পর্ক!
তৃষ্ণার্ত দেহে একদিন;
আমি যখন তার গালে চুমো দেই;
সে আমাকে এক ঢেউয়ে ভিজিয়ে দেয়।
সেই থেকে আমাদের সম্পর্কের সূত্রপাত।
মায়াও হতো খুব!
একটা মানুষের দুঃখে;
দু'ফোটা জল থাকে চোখে;
কিন্তু তার গাঁ জুরে সমস্ত জল!
যে জল চৈত্রের দাবদাহে শুকোয় না!
কখনো এ-কূল, কখনো ও-কূলে গড়িয়ে পড়ে!
যে জলে আপন মুখচ্ছবির দেখা মিলে!
যতদূর চোখ যায়; তার কোল ঘেষে কোন কাশবনের দেখা নেই!
একটু পুবের হাওয়াও আলতো ঢেউ তোলে না তার বুকে!
পানকৌড়ি এসে বুক উঁচিয়ে ডুব দেয় না তার আদিম গভীরতায়!
একটি বেলে হাঁসও ভাসে না পাখা ঝাপটে!
তবুও আমি একাই ভাসি, একাই সাঁতার কাটি।
একাই অবগাহন করি শতত শুদ্ধতায়;
তার অতল গহ্বরে।।
বর্ষা হয়, জোয়ার আসে, ভাটা লাগে
তবুও আমি তার পাড়ে আনকোরা হৃদয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
যেমন দাঁড়িয়ে থাকে একটি হিজল গাছের নিচে তৃষ্ণার্ত ঘর্মাক্ত রাখাল
ইচ্ছেমতো বয়ে যায়
যতই আমি তাকে প্রাণের সন্ধান দেই
সে তার ইচ্ছাতে অনড়
আমিও তার।
সন্ধ্যা হওয়ার আগেই আমি জেগে উঠি ; রাতকে দেখব বলে। দিন তো সবাই দেখে ; রাত কজনই বা দেখে ? দিনকে না দেখতে চাইলেও কে বা কারা যেন এসে দ...
আত্নসমালোচনা
রাতকে দেখব বলে।
দিন তো সবাই দেখে; রাত কজনই বা দেখে?
কে বা কারা যেন এসে দেখিয়ে দেয়।
দেখার অধিকার-অনাধিকার তখন আমার হাতে থাকে না।
আমি তো শুধু কোনো এক নিয়মের ক্রীড়ানক মাত্র।
চোখ তো মেলতে হয় রাতকে দেখতে!
তারাও তো দিন দেখে!
দিন দেখতে অসংখ্য কাঠকড়ি পোড়াতে হয় না।
দিনকে শুয়ে-বসেই দেখা যায়।
হাঁটতে হয়, কাঁদতে হয়;
ক্লান্ত ঘাম শুকানো অবধি বসে থাকতে হয়;
তোড়জোড় করে উদ্বাস্তু জনপদের মতো দিগন্তে মিলিয়ে যেতে হয়।
শশব্যস্ত হয়ে কান পেতে থাকতে হয় আদিম আঁধারে।
কিন্তু রাত দেখতে প্রয়োজন; প্রাণশক্তির অভয়।
মাঝে মাঝে এই ভেবে আশ্চর্যান্বিত হই আমি কতই না শক্তিধর! আমি কত দূরই না দেখি! আমি কতকিছুই না স্পর্শ করি! আমি স্মৃতি আওড়িয়ে অনর্...
অহংবোধ
আমি কতই না শক্তিধর!
আমি কত দূরই না দেখি!
আমি কতকিছুই না স্পর্শ করি!
আমি স্মৃতি আওড়িয়ে অনর্গল কত কথাই না বলতে পারি!
আমার দুচোখ এ পৃথিবীর কতটুকুই বা দেখেছে!
আর দূর- সে তো অনেক দূর
যেখানে আমি আমার নিজের মুখটুকুই দেখতে পাই না;
একটুকরু আয়না ছাড়া।
কিন্তু কি অবলিলায় অজ্ঞাত সব লোকেরা দেখে যায়;
আমার আয়ত চোখ জোড়া।
তখন নিজকে অনেক সহজ মনে হয়,
বন্ধ হয়ে যায় দাম্ভিকতার কিংকর্তব্যবিমূঢ় আস্ফালন।
কারন লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্ররাজি দেখা চোখ জুড়ে,
আপন হাত নুয়ে পড়লে
পুরো পৃথিবী অভিশপ্ত মনে হয়।
মনে হয়; যার সাথে কোনদিনই আমার সখ্যতা ছিল না।
আত্নঅহমিকার রেলগাড়ি একটি সরু লেন ধরে তখন কোথায় যেন হারায়!
তখন আমি; অন্ধকার পৃথিবীতে নিজ তাৎপর্যপূর্ণহীনতার দিন গুনি।
আর শৃঙ্খলাতার চাদর মুড়িয়ে অবনমিত করি আপন শিরদাঁড়া।
অথচ আমার এ হাত পৃথিবীর কতটুকুই বা স্পর্শ করেছে!
কখনো তো স্নিগ্ধ চাঁদের গায়ে হাত বুলয়নি!
সমুদ্রের নিচে জমে থাকা শীতল বালুকনাও;
কখনো তো আমার হাতের মৃদু ছোঁয়ায় লেপ্টে যায়নি!
আমার অন্ত্রে বসবাসকারী আমারই উপকারী পরজীবী
কখনো তো আমার হাতের উষ্ণ মূর্ছনায় আন্দোলিত হয়নি!
তবে আমার কিসের এতো ছোঁয়ে দেয়ার বড়াই?
তবে আমি সেই ক্ষুদ্রতায়ই আশ্চর্যান্বিত!
আমি সসীম!
তবে আমি অবিশেষ কেউ নই
আমি সেই সসীমতার সবিশেষ কেউ!
কারন আমি অসীমতার সৃষ্টি ।
আমি এমন কাউকে চাই যে কিনা নতুন আর পুরাতনের মিশ্রন যাকে ছোঁয়ে দিলে আটাশ বয়সী প্রাণ নিমিষেই আঠারোতে এসে গড়াগড়ি খায় শৈশবে এসে নাচিন...
আমি এমন কাউকে চাই
বিনয়, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সম্মানবোধ ও নম্রতা ইত্যাদি শব্দগুলোর অর্থগত ব্যাপ্তি, বাচন, উচ্চারণ অত্যান্ত সুন্দর, হৃদয়ে অনুরন সৃষ্টি করে।...
বিনয় নিয়ে যৎসামান্য
আমি নিজ চোখে আমার মৃত্যু দেখেছি দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয় ...
আমার স্বপ্ন
দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে
আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয়
হাজার বছরের দিনলিপি লেখা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে
আমি দেখেছি!
একটি ফানেলে আমার প্রাণেকে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার প্রয়াস।
তর্জনীতে বারবার আমার প্রাণে আঘাত;
আমি দেখেছি! আমি দেখেছি!
না হয় পূর্বপুরুষদের আবহমান আতিথেয়তাই বাঁচে থাকতাম!
স্বজনপ্রীতির এই দেশে না হয় সৌজন্যতাই বাঁচে থাকতাম!
কৃষ্ণচূড়ার এই শহরে না হয় কৃষ্ণচূড়ার মতোই বাঁচে থাকতাম!
শুধু বেঁচে থাকলেই- কিছু না হলেও; কিছু তো একটা হতো।
সে একটাই দামি!
সে একটাই আর কেউ নয়; সে একটাই আমি!!
মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম ও দিয়া খানমের স্মরনার্থে।
প্রিয় চিঠি তোমাকে আর লিখা হয় না। তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না ; একান্তে কোনদিন প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে তুমিও তো কম ভুলনি আমায়। এক টু...
চিঠি
তোমাকে আর লিখা হয় না।
তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না; একান্তে কোনদিন
প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে
তুমিও তো কম ভুলনি আমায়।
অতীতের গন্ধ ছড়িয়ে একটি শুকনো কলম হাতে বসাও নি পড়ার টেবিলে।
এত আনমনে হলে কি করে?
সে স্মৃতি তুমি কিভাবে ভুলে গেলে?
সে স্মৃতি কি তোমায় পোড়ায় না!
একটুও কি ভাবায় না- এমন কারোর কথা
যে তোমায় প্রায়ই লিখত
প্রাণের কথা, পৃথিবীর কথা!
জ্যোছনার কথা, সমুদ্রের কথা!
যা ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলা যায়?
যা মুড়িয়ে বৃষ্টির জলে ফেলে দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?
যেমনটি তুমি করেছ গেল বারোটি মাস!
তোমার শরীর কি এখনো নিস্তেজ শুয়ে থাকে; আমার আঙ্গুলের নিচে।
"ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন ফজর পড়ে যেন সবাই কেন্দ্র পাহারা দেয়। কিন্তু কে জানতো প্রধানমন্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়ে বাক্স ভরে ফেলবেন।"...
আন্দালিব রহমান পার্থের রং চটচটে স্টেটমেন্ট
জানো মহামায়া স্বরবর্ণ নয় ; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম। ঠিক প্রেম নয় ; মায়া। ঠিক মায়াও নয় ; এ যেন এক ...
মহামায়া
স্বরবর্ণ নয়; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
নতুন দিনের আহ্বানে বৃক্ষরাজি যেমন পত্র-পল্লব-মুকুলে মুহুর্মুহু হয়ে উঠে
ঠিক সেরকম।
কিছুতেই বর্ণহীন থাকতে চায় না
প্রাণের সমস্ত রস নিয়ে বেড়িয়ে আসতে চায় বহুকাল রুদ্ধ থাকা পাথরের মুখ থেকে
শুনবে মহামায়া
আমি ব্যঞ্জনবর্ণের সেই একই রঙের- সেই একই ঢঙের
সেই পূর্বপরিচিত চিরচেনা নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; এ যেন মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
নিবিড়-গভীর-গাঢ়
একদম অবিকল মানুষের মতো;
যে রাত্রিতে নৌকর গুলয়ে শুয়ে সন্ধ্যা আকাশের জোৎস্না দেখে
বিকেল হতেই হনহন করে ছুটে এসে
শনশন বাতাসে এক ঝাক ইচ্ছে বেঁধে দেয়
ঘুড়ির নাটাইয়ে;
সে প্রেম নয়; প্রনয়।
আরো শুনবে মহামায়া
আমি ব্যঞ্জনবর্ণের মধুর ব্যঞ্জনমিশ্রিত কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
বিস্তৃত নক্ষত্রের মতো
আদিমকাল থেকে জেগে বসে আছে
নিজকে মেলে ধরে
এই নিখিল বিশ্বব্রহ্মান্ডে
মেঘের আড়ালেও নিদ্রাহীন চেয়ে থাকে একটু আলো দেয়ার আশায়
বিভোর নেশায়।
জানো মহামায়া
স্বরবর্ণ নয়; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে বুকে কাফন নিয়ে হনহন করে ছুটে আসা
এ যেন এক ঝাঁক পাখি।
দুরন্ত-উদ্দাম-উন্মাদ।
0 comments: