recent

তাজরিন আত্নতৃপ্তির এক সুদৃঢ় নাম তাজরিন বর্নোজ্জ্বল এক প্রভাতে উদ্দাম স্বাধীনতার নাম তাজরিন কেবলই এক বিমুগ্ধ সুখানুভূতির নাম তাজরি...

এক আগন্তুকের আত্নকথন


তাজরিন আত্নতৃপ্তির এক সুদৃঢ় নাম
তাজরিন বর্নোজ্জ্বল এক প্রভাতে উদ্দাম স্বাধীনতার নাম
তাজরিন কেবলই এক বিমুগ্ধ সুখানুভূতির নাম
তাজরিন পৃথিবী পানে প্রত্যাবর্তিত এক তারার নাম
তাজরিন এক স্বপ্নের নাম
তাজরিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশে রংধনুর নাম
তাজরিন বিনম্র এক শ্রদ্ধার নাম
তাজরিন অনবদ্য এক মহাকাব্যের নাম
তাজরিন হাজারো সহায়হীনের এক আশ্রয়ের নাম

তাজরিন একটি প্রবাহমান নদীর নাম
তাজরিন একটি প্রশস্ত হৃদয়ের নাম
তাজরিন একটি পাল তোলা নৌকর নাম
তাজরিন একটি পৃথিবীর নাম
তাজরিন একটি জীবনের নাম
তাজরিন এক আলো-আধারি ছায়ার নাম
তাজরিন আমৃত্যু কৃতজ্ঞ হয়ে বেঁচে থাকার নাম
তাজরিন ফেলে আসা শত বিচ্ছেদের অভিমান ভাঙার নাম
তাজরিন চিরায়িত এক সত্যের নাম
তাজরিন একটি বিশ্বাসের নাম
তাজরিন গাঢ় অন্ধকারে নির্মল আলো প্রক্ষেপণকারী একটি প্রদীপের নাম
তাজরিন উর্ধ্ব আকাশ থেকে ভেসে আসা এক সুমধুর সুরের নাম
তাজরিন কেবলই জন্মান্ধ এক মায়ার নাম
তাজরিন বিমূর্ত এক অপরূপা চিত্রময়ীর নাম
তাজরিন বর্ষার পলিতে পরাগায়ন মুখরিত-দোলায়িত সোনালি ফসলের নাম
তাজরিন বহু ক্রোশ হেঁটে আসা এক পথিকের প্রত্যাশিত ঠিকানার নাম
তাজরিন এক তুলনাহীনা আদর্শের নাম
তাজরিন বর্ণিল এক হাসির নাম
তাজরিন পৃথিবীর দুমেরুর মিলনের নাম

তাজরিন এক প্রার্থনার নাম
তাজরিন এক ইতিহাসের নাম

তাজরিন শত স্পর্শে নিঃশব্দ, সাড়াহীন; এক মগ্নতায় ডুবে থাকার নাম
তাজরিন একটি সুপ্ত হৃদয়াকাঙ্খার নাম
তাজরিন একটি নক্ষত্রখচিত আকাশের নাম
তাজরিন জীবন সমুদ্রে এক উচ্ছ্বাসিত জোয়ারের নাম
তাজরিন মরা গাঙে বারিধারার বর্ষনে- সৃষ্ট প্লাবনের নাম
তাজরিন চোখ ধাঁধানো এক যাদুর নাম
তাজরিন বৈকাল হ্রদের গভীরে একটি পূণ্য আবির্ভাবের নাম
তাজরিন সৌরভ মুখরিত পুষ্প সমারোহের নাম
তাজরিন জীবন সায়াহ্নে বাকরুদ্ধ এক অভিপ্রায় এর নাম
তাজরিন এক মহামায়া অথবা এক মায়াময়ীর নাম
তাজরিন শিশির ভেজা এক মুক্ত প্রাঙ্গনের নাম
তাজরিন নিখুঁত সত্যে-আত্নপক্ষ সমর্থনের নাম
তাজরিন স্রষ্টার এক অদ্বিতীয়া সৃষ্টির নাম
তাজরিন কল্যাণময় শত ত্যাগের নাম
তাজরিন একটি মানবিক নাম

তাজরিন সকল উপমা জলাঞ্জলি দেওয়া
আপন মহিমায় চির উদ্ভাসিত এক নাম
তাজরিন ক্ষুদ্র জীবনে এক আর্শিবাদের নাম
তাজরিন ধর্মীয় এক অনুশাসনের নাম
তাজরিন কেবলই এক অতৃপ্ত মুগ্ধতার নাম
তাজরিন অনাবিল এক ঝর্নার নাম
তাজরিন অনিবার্য একটি অভ্যুদয়ের নাম

তাজরিন নববধূর মাধুর্য মিশ্রিত একটি নকশিকাঁথার নাম
তাজরিন সূচনালগ্ন একটি সভ্যতার নাম
তাজরিন নিস্তব্ধ একটি ব্যকুলতার নাম
তাজরিন দীপ্তচোখে বারংবার ঔদাসীন্যে অবগাহনের নাম
তাজরিন আগুনের লেলিহান শিখায় দাঁড়িয়ে অশ্রু সংবরন করার নাম
তাজরিন হৃদয় মন্দির লন্ড-বন্ড করে দেওয়া একটি ঝড়ের নাম
তাজরিন এক প্রখ্যাত ইত্যিহের নাম
তাজরিন এক স্বপ্নাবিষ্ট নাম
তাজরিন এক উচ্ছ্বাসের নাম

তাজরিন মনোহরী এক ইন্দ্রিয় অনুভূতির নাম
তাজরিন উৎফল্ল হৃদয়ে নির্বাসিত হওয়ার নাম
তাজরিন একটি প্রেরণার নাম
তাজরিন একটি শ্রুব্র মোহের নাম
তাজরিন জগদীশ্বরের চোখে ঘোর সৃষ্টি করা- একটি কালজয়ী রঙের নাম
তাজরিন একটি বাধাহীন অক্ষাংশের নাম
তাজরিন রক্তিম আভা মিশ্রিত একটি শিউলি ফুলের নাম
তাজরিন একটি ভাষার নাম
তাজরিন অলিখিত একটি প্রেমময়ী চুক্তির নাম
তাজরিন একটি অসীম প্রতিজ্ঞার নাম
তাজরিন উজ্জ্বল কেশী, সুখী, শৌখিন এক বিদ্যানুরাগীর নাম
তাজরিন একটি সংকল্পের নাম
তাজরিন বিভীষিকাময় পথে মৃত্যু অবধারিত জেনেও
এক সুবর্ণ সায়াহ্নের দার পরিগ্রহনের নাম
তাজরিন একটি দুঃসাহসের নাম
তাজরিন সূর্যচন্দ্রালোকিত নবপ্রস্ফুটিত স্বপ্নাভিভূত এক নূতনসৃষ্ট লাবণ্যের নাম
তাজরিন একটি জ্যোৎস্না শোভিত রাত্রির নাম
তাজরিন জল-স্থল-অন্তরীক্ষে রহিত নিদর্শনের নাম
তাজরিন পৃথিবীর সপ্ত-আশ্চর্যের নাম
তাজরিন আয়ত-পদ্মলোচনা একটি অম্রমুকুলের নাম
তাজরিন একটি নীলরঙা সাগরের নাম
যে কিনা যথেষ্ট অভিমানী;
তবুও আবিরাম কাছে টানে

তাজরিন একটি রূপকথার নাম
তাজরিন অসূর্যস্পশ্যা অন্তঃপুরী এক রাজকন্যার নাম
তাজরিন প্রথমা আকাশ বিদীর্ন করে উঁকি দেওয়া এক নববর্ষার নাম
তাজরিন কারুকার্য সজ্জিত এক পূজনীয় প্রতিমার নাম
তাজরিন পূর্নিমাতিথিতে অলংকার আচ্ছন্ন এক শুভলগ্নের নাম
তাজরিন চাঁদের অমাবস্যায় হৃদয় অববাহিকায় পরমানন্দময় এক প্রনয়ের নাম
তাজরিন সহস্রবার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে দেখা এক অপূর্ব সৌন্দর্যরাজ্ঞীর নাম
তাজরিন স্বর্নলেখায় অঙ্কিত-মায়াসিংহাসন মণ্ডিত এক জগজ্জয়ী অনন্যতার নাম
তাজরিন শুধুই গুণের প্রতাপ প্রতিপত্তি কিংবা রূপের জৌলশ নয়
তাজরিন সকল দৃষ্টির অগোচরে পৃথিবীর একমাত্র ঐশর্য।।

তাজরিন সুশ্রী-শুচি অভয়বে রূপ-রস-গন্ধ বিলিয়ে অবিরাম বয়ে চলা এক সৌন্দর্যস্রোত

তাজরিন শ্রদ্ধাভরে অবনমিত শিরে একটি আদ্র সবুজ পুষ্প কিংবা একটি সদ্য প্রসবজাত পত্র-পল্লবের নিকট একটি মৌমাছির শালীন গুঞ্জন।

তাজরিন শুধুই সৌন্দর্যের আধার কিংবা লীলাভূমি নয়;
তাজরিন সৌন্দর্যের এক অভয়ারণ্য।।

0 comments:

যদি আমাকে জিজ্ঞেস কর , " আকাশ না দেখার অপূর্নতা কেমন ?" আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব , " আকাশ না দেখে বেঁচে থ...

আকাশ



যদি আমাকে জিজ্ঞেস কর, "আকাশ না দেখার অপূর্নতা কেমন?"
আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব, "আকাশ না দেখে বেঁচে থাকা যায়?"
আকাশ আছে বলেই তো আমার বাঁচার স্বপ্ন।
তুমিহীনা আমি ঢের বাঁচতে পারি
কিন্তু আকাশহীনা!
আকাশ কত বিশাল!
কত গাঢ় তার রঙ!
কি অনন্য তার উচ্চতা!
যোজন যোজন দূরে থেকেও কেমন যেন উদার, সুশৃংখলতা।
ছোঁয়া যায় না; তবুও হৃদয়ের খানিক জায়গায় সুক্ষ্ম টান তার প্রতি
চির ধরে পুরো হৃদয় দ্বিখন্ডিত হওয়ার টান!
একটিবার হলেও যেন তাকে দেখতে হবে
এবেলা না দেখতে পেলেও যেন ওবেলা দেখি
দুমুঠো না খেয়ে হলেও যেন একমুঠো দেখি
কি এক নিয়মে যেন তাকে আমি দেখতে বাঁধা!
কতশত আকাশ আমাদের আকাশে!
প্রভাতের আকাশ, বৃষ্টিস্নাত আকাশ
কালিমাখা আকাশ, সন্ধ্যা আকাশ
অপরাহ্নের আকাশ, নীলিমা মিশ্রিত আকাশ
মেঘে ঢাকা আকাশ, নক্ষত্রখচিত আকাশ।
তুমিই বল, "এতোশত আকাশ না দেখে থাকা যায়?"
তারপরও;
এইতো সেদিন আকাশ দেখতে দেখতে বলেছিলাম, "তোমায় আকাশসম ভালোবাসি।"
আর তুমি!
আমার আকাশ দামে আমার সকল শর্ত তোমায় নিঃশর্ত সমর্পণ করলাম।
পারলে চুকিয়ে দিও।

0 comments:

পরিনত প্রেম বরাবরই আমার অপ্রিয় তার চেয়ে বরং প্রেমের শুরুটাই প্রিয়। একটু যত্ন , দুরুত্বের উষ্ণতা , সামান্য ভয় , নিদারুণ অস্থিরতা। ক...

আমার প্রেম



পরিনত প্রেম বরাবরই আমার অপ্রিয়
তার চেয়ে বরং প্রেমের শুরুটাই প্রিয়।
একটু যত্ন, দুরুত্বের উষ্ণতা, সামান্য ভয়,
নিদারুণ অস্থিরতা।
কিছু স্বপ্ন, রক্তপ্রবাহে উন্মাদনা, খানিক সরলতা
আধেক ঘুম, আধেক জাগরন
অবেলা আনমনে মগ্নতা
আকুল হয়ে নিরন্তর বয়ে চলা
স্নিগ্ধ সরল চপলতা, সরেস রস
বেকুলতার আহাজারি, একটু ভুলা মন
নিছক অভিমান, অবুঝ খেয়ালিপনা
অজানা আনন্দ, অব্যক্ত কথা
অনুভূতির তোপধ্বনি, অনন্ত স্বাধীনতা
দিগন্ত জয়ের মুক্ত নেশা।

আর অজস্র কাব্য, নিরস্ত্র পাজর
নির্ঘুম রাত, আকাসসম উদারতা
আদ্র মেঘের শিহরণ, মলয়সম ব্যথা
কখনো সাদৃশ্য, কখনো অদৃশ্য অসীম বোধ
হৃদয়ের অপাংক্তেয় শেকলে বন্দি করার উদ্বিগ্নতা
তাই প্রেম; আমার প্রেম!
অমর প্রেম, চির প্রেম।

0 comments:

শুনেছি মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয় কিন্তু আমার সাথে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা আমার সাথে হয়েছে একটি নদীর সম্পর্ক! তৃষ্ণার্ত দেহে...

সম্পর্ক





শুনেছি মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয়
কিন্তু আমার সাথে হয়েছে ঠিক তার উল্টোটা
আমার সাথে হয়েছে একটি নদীর সম্পর্ক!
তৃষ্ণার্ত দেহে একদিন;
আমি যখন তার গালে চুমো দেই;
সে আমাকে এক ঢেউয়ে ভিজিয়ে দেয়। 
সেই থেকে আমাদের সম্পর্কের সূত্রপাত।

তাকে আমি ভালোবাসতাম তার দুঃখ জেনে;
মায়াও হতো খুব!
একটা মানুষের দুঃখে;
দু'ফোটা জল থাকে চোখে;
কিন্তু তার গাঁ জুরে সমস্ত জল!
যে জল চৈত্রের দাবদাহে শুকোয় না!
কখনো এ-কূল, কখনো ও-কূলে গড়িয়ে পড়ে!

সে ততটা স্বচ্ছ জলের নদী না!
যে জলে আপন মুখচ্ছবির দেখা মিলে!
যতদূর চোখ যায়; তার কোল ঘেষে কোন কাশবনের দেখা নেই!
একটু পুবের হাওয়াও আলতো ঢেউ তোলে না তার বুকে!
পানকৌড়ি এসে বুক উঁচিয়ে ডুব দেয় না তার আদিম গভীরতায়!
একটি বেলে হাঁসও ভাসে না পাখা ঝাপটে!
তবুও আমি একাই ভাসি, একাই সাঁতার কাটি।
একাই অবগাহন করি শতত শুদ্ধতায়;
তার অতল গহ্বরে।।

তার অবারিত বিস্তৃততায়;
বর্ষা হয়, জোয়ার আসে, ভাটা লাগে
তবুও আমি তার পাড়ে আনকোরা হৃদয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
যেমন দাঁড়িয়ে থাকে একটি হিজল গাছের নিচে তৃষ্ণার্ত ঘর্মাক্ত রাখাল

সে অনেক খেয়ালি নদী
ইচ্ছেমতো বয়ে যায়
যতই আমি তাকে প্রাণের সন্ধান দেই
সে তার ইচ্ছাতে অনড়
আমিও তার।

0 comments:

সন্ধ্যা হওয়ার আগেই আমি জেগে উঠি ; রাতকে দেখব বলে। দিন তো সবাই দেখে ; রাত কজনই বা দেখে ? দিনকে না দেখতে চাইলেও কে বা কারা যেন এসে দ...

আত্নসমালোচনা


সন্ধ্যা হওয়ার আগেই আমি জেগে উঠি;
রাতকে দেখব বলে।
দিন তো সবাই দেখে; রাত কজনই বা দেখে?
দিনকে না দেখতে চাইলেও
কে বা কারা যেন এসে দেখিয়ে দেয়।
দেখার অধিকার-অনাধিকার তখন আমার হাতে থাকে না।
আমি তো শুধু কোনো এক নিয়মের ক্রীড়ানক মাত্র।
দিনকে দেখতে চোখ মেলতে হয় না!
চোখ তো মেলতে হয় রাতকে দেখতে!
যার চোখ নেই অথবা যার চোখে বড় দুটো পাথর;
তারাও তো দিন দেখে!
দিন দেখতে অসংখ্য কাঠকড়ি পোড়াতে হয় না।
দিনকে শুয়ে-বসেই দেখা যায়।
রাত দেখতে যত কর্তব্য!
হাঁটতে হয়, কাঁদতে হয়;
ক্লান্ত ঘাম শুকানো অবধি বসে থাকতে হয়;
তোড়জোড় করে উদ্বাস্তু জনপদের মতো দিগন্তে মিলিয়ে যেতে হয়।
শশব্যস্ত হয়ে কান পেতে থাকতে হয় আদিম আঁধারে।
অথচ দিন দেখতে প্রাণটুকু ছাড়া আর কি'ই বা প্রয়োজন হয়।
কিন্তু রাত দেখতে প্রয়োজন; প্রাণশক্তির অভয়।


0 comments:

মাঝে মাঝে এই ভেবে আশ্চর্যান্বিত হই আমি কতই না শক্তিধর! আমি কত দূরই না দেখি! আমি কতকিছুই না স্পর্শ করি! আমি স্মৃতি আওড়িয়ে অনর্...

অহংবোধ



মাঝে মাঝে এই ভেবে আশ্চর্যান্বিত হই
আমি কতই না শক্তিধর!
আমি কত দূরই না দেখি!
আমি কতকিছুই না স্পর্শ করি!
আমি স্মৃতি আওড়িয়ে অনর্গল কত কথাই না বলতে পারি!
অথচ,
আমার দুচোখ এ পৃথিবীর কতটুকুই বা দেখেছে!
আর দূর- সে তো অনেক দূর
যেখানে আমি আমার নিজের মুখটুকুই দেখতে পাই না;
একটুকরু আয়না ছাড়া।
কিন্তু কি অবলিলায় অজ্ঞাত সব লোকেরা দেখে যায়;
আমার আয়ত চোখ জোড়া।
তখন নিজকে অনেক সহজ মনে হয়,
বন্ধ হয়ে যায় দাম্ভিকতার কিংকর্তব্যবিমূঢ় আস্ফালন।
কারন লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্ররাজি দেখা চোখ জুড়ে,
আপন হাত নুয়ে পড়লে
পুরো পৃথিবী অভিশপ্ত মনে হয়।
মনে হয়; যার সাথে কোনদিনই আমার সখ্যতা ছিল না।
আত্নঅহমিকার রেলগাড়ি একটি সরু লেন ধরে তখন কোথায় যেন হারায়!
তখন আমি; অন্ধকার পৃথিবীতে নিজ তাৎ
পর্যপূর্ণহীনতার দিন গুনি।
আর শৃঙ্খলাতার চাদর মুড়িয়ে অবনমিত করি আপন শিরদাঁড়া।
স্পর্শ নিয়ে আমার কতই না বড়াই!
অথচ আমার এ হাত পৃথিবীর কতটুকুই বা স্পর্শ করেছে!
কখনো তো স্নিগ্ধ চাঁদের গায়ে হাত বুলয়নি!
সমুদ্রের নিচে জমে থাকা শীতল বালুকনাও;
কখনো তো আমার হাতের মৃদু ছোঁয়ায় লেপ্টে যায়নি!
আমার অন্ত্রে বসবাসকারী আমারই উপকারী পরজীবী
কখনো তো আমার হাতের উষ্ণ মূর্ছনায় আন্দোলিত হয়নি!
তবে আমার কিসের এতো ছোঁয়ে দেয়ার বড়াই?
আমি নেহাত ক্ষুদ্র!
তবে আমি সেই ক্ষুদ্রতায়ই আশ্চর্যান্বিত!
আমি সসীম!
তবে আমি অবিশেষ কেউ নই
আমি সেই সসীমতার সবিশেষ কেউ!
কারন আমি অসীমতার সৃষ্টি ।


0 comments:

আমি এমন কাউকে চাই যে কিনা নতুন আর পুরাতনের মিশ্রন যাকে ছোঁয়ে দিলে আটাশ বয়সী প্রাণ নিমিষেই আঠারোতে এসে গড়াগড়ি খায় শৈশবে এসে নাচিন...

আমি এমন কাউকে চাই



আমি এমন কাউকে চাই
যে কিনা নতুন আর পুরাতনের মিশ্রন
যাকে ছোঁয়ে দিলে আটাশ বয়সী প্রাণ নিমিষেই আঠারোতে এসে গড়াগড়ি খায়
শৈশবে এসে নাচিনাচি করে
অল্পতে ভায়না ধরে
কিংবা হঠাৎ পঞ্চাশোর্ধ বয়োজ্যেষ্ঠের ন্যায় একগাদা অভিজ্ঞতার ফুলঝড়ি শুনায়।
গুরুগম্ভীর থাকে অকারন
ভুলেও ত্রুটি করা যাবে না
এমন বাধ্যবাধকতা সবখানে
আমি ঠিক তেমিন কাউকে চাই। 

আমি এমন কাউকে চাই
যার শরীর থেকে পুকুরের শেওলা জমা পানির গন্ধ আসবে
আবার এই শরীর থকেই গন্ধ আসবে ইট-কংক্রিটে ঘেরা আবদ্ধ পানির।
আমি ঠিক এমন কাউকে চাই।

আমি এমন কাউকে চাই;
যে তিরাশি বছরের দাম্পত্যে একবারও আমাকে তুমি বলে ডাকবে না
আপনি বলেই সম্বোধন করবে। 
আবার সেই মানুষটিই;
তুচ্ছার্থক তুই সর্বনামে আমাকে হাজার বছরের তার একক উত্তরাধিকারী করে নিবে।
আমি ঠিক এমন কাউকে চাই। 

আমি এমন কাউকে চাই
যে সবকিছুরই সুন্দর একটি অর্থ খুঁজে। 
আমি এমন কাউকে চাই
যে প্রেম নয়; প্রণয় ভালোবাসে।

1 comments:

বিনয়, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সম্মানবোধ ও নম্রতা ইত্যাদি শব্দগুলোর অর্থগত ব্যাপ্তি, বাচন, উচ্চারণ অত্যান্ত সুন্দর, হৃদয়ে অনুরন সৃষ্টি করে।...

বিনয় নিয়ে যৎসামান্য



বিনয়, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, সম্মানবোধ ও নম্রতা ইত্যাদি শব্দগুলোর অর্থগত ব্যাপ্তি, বাচন, উচ্চারণ অত্যান্ত সুন্দর, হৃদয়ে অনুরন সৃষ্টি করে। ভদ্র-অভদ্র, বিশেষ-অবিশেষ, ইতর-বদমাইশ সকলেই শব্দগুলোর গভীরতা অনুধাবন করে। সুতরাং সমাজেও এ শব্দের প্রায়োগিক প্রতিফলিত রূপ নির্বিশেষে বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রসঙ্গগত একটি উদাহরণ লক্ষ্য করা যাক, রাজা প্রজাদের কাছ থেকে বরাবরই ভালোবাসা ও সম্মান পাওয়ার দাবিদার। তেমনি প্রজারাও মহামান্য রাজার প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের অংশীদার। কিন্তু রাজার প্রাপ্য ভদ্রতা ও প্রাপ্য সম্মানটুকু দেখাতে গিয়ে প্রজারা নিজের স্বকীয়তা হারাবে, নিজকে ছোট করবে, খাটো মনে করবে, মনে মনে নিজকে নিজে নিজের নগণ্যতার স্মারকলিপি দিবে; তা কোনভাবেই ঠিক নয়।

নিজকে তুচ্ছ বা অবমূল্যায়ন করে অন্যকে মর্যাদার আসনে সমাসীন করার নামে যে ভদ্রতা- বিশেষ অর্থে তা অভদ্রতা তথা চাটুকারিতা।

কোন ব্যক্তি পদমর্যাদায় বা স্ট্যান্ডার্ড আপনার থেকে এগিয়ে থাকতেই পারে। তার প্রতি ভদ্রতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন; আপনার মানবিক গুণের পরিচায়ক। তাই বলে ভদ্রতার নামে অতি ভদ্রতায়, বিনয়ের নামে অতি বিনয়ে তার কাছে নিজকে নগন্য ভাবার কোন অবকাশ নেই। আপনি আপনার পৃথিবীর সম্রাট। আপনাকে নিয়ে আপনার একটি একক, অদ্বিতীয় জগত। সে জগতের একচ্ছত্র অধিপতি আপনি। সে জগতের অধিপতি যদি আপন স্বত্তা নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। তাহলে সে সম্রাজ্যের বিবর্তনের হাওয়া-বদল ঘটাবে কে? যেখানে সম্রাজ্যপতি নিজেই নিজের সত্ত্বা নিয়ে কুন্ঠিত।

কাউকে শ্রদ্ধা করা বা কারোর প্রতি বিনয়ী হওয়ার মানে এই নয় যে তার সামনে ভদ্রতার নামে কাঁচুমাচু করা, মাথা নিচু করা, নিজকে অপর্যাপ্ত বলে মনে করা অথবা নিজকে নিছক বা অবিশেষ কেউ ভাবা।

শ্রদ্ধার নামে কারো প্রতি অতি বিনয়ী হওয়া বা অতি ভক্তি প্রদর্শন করা অথবা আপন সত্ত্বাকে নগণ্য মনে করা বা সর্বসাকুল্যে নিজকে অবিশেষ করে তোলা; স্রেফ কেতাদুরস্ত চাটুকারিতা।

এ প্রসঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের বক্তব্যটি মনে করা যায়, অনেক সময় খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে নিজের সত্যেকে অস্বীকার করে ফেলা হয় । তাতে মানুষকে ক্রমেই ছোট করে ফেলে, মাথা নিচু করে আনে; ও রকম মেয়েলি বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো।

0 comments:

আমি নিজ চোখে আমার মৃত্যু দেখেছি দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয় ...

আমার স্বপ্ন



আমি নিজ চোখে আমার মৃত্যু দেখেছি
দেখেছি- কিভাবে তীক্ষ্ণ ইন্দ্রিয়সম্পন্ন মানুষ নির্বিকার আমাকে হত্যা করে
আমার স্বপ্নগুলোকে মুড়িয়ে দেয়
হাজার বছরের দিনলিপি লেখা থেকে আমাকে বঞ্চিত করে
আমি দেখেছি!
দেখেছি- আমার ফুটন্ত কৈশোরে জীবন্ত পানি নয়; বিষাক্ত কীটনাশকের সেচ।
একটি ফানেলে আমার প্রাণেকে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখার প্রয়াস।
তর্জনীতে বারবার আমার প্রাণে আঘাত;
আমি দেখেছি! আমি দেখেছি!
ধরি, আমার স্বপ্নগুলো দামি নয়; তবে মূল্যহীন কিসে?
না হয় পূর্বপুরুষদের আবহমান আতিথেয়তাই বাঁচে থাকতাম!
স্বজনপ্রীতির এই দেশে না হয় সৌজন্যতাই বাঁচে থাকতাম!
কৃষ্ণচূড়ার এই শহরে না হয় কৃষ্ণচূড়ার মতোই বাঁচে থাকতাম!
শুধু বেঁচে থাকলেই- কিছু না হলেও; কিছু তো একটা হতো।
সে একটাই দামি!
সে একটাই আর কেউ নয়; সে একটাই আমি!!

মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম ও দিয়া খানমের স্মরনার্থে।


0 comments:

প্রিয় চিঠি তোমাকে আর লিখা হয় না। তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না ; একান্তে কোনদিন প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে তুমিও তো কম ভুলনি আমায়। এক টু...

চিঠি



প্রিয় চিঠি
তোমাকে আর লিখা হয় না।
তোমাকে নিয়ে বসাও হয় না; একান্তে কোনদিন
প্রায় ভুলেই গিয়েছি তোমাকে
তুমিও তো কম ভুলনি আমায়।
এক টুকরু কাগজ নিয়েও তো টিপটিপ পায়ে হেঁটে আসো নি; আমার উঠোনে
অতীতের গন্ধ ছড়িয়ে একটি শুকনো কলম হাতে বসাও নি পড়ার টেবিলে।
এত আনমনে হলে কি করে?
আমি না হয় ভুলেই গিয়েছি;
কিন্তু তোমার গায়েই তো আমার যত স্মৃতি।
সে স্মৃতি তুমি কিভাবে ভুলে গেলে?
সে স্মৃতি কি তোমায় পোড়ায় না!
একটুও কি ভাবায় না- এমন কারোর কথা
যে তোমায় প্রায়ই লিখত
প্রাণের কথা, পৃথিবীর কথা!
জ্যোছনার কথা, সমুদ্রের কথা!
আমার নির্মোহ অক্ষর অভিব্যক্তি শুধুই কি কালো জলের যত্রতত্র চিহ্ন ছিল?
যা ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলা যায়?
যা মুড়িয়ে বৃষ্টির জলে ফেলে দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?
যেমনটি তুমি করেছ গেল বারোটি মাস!
আমার আঙ্গুলগুলো তো এখনো দেয়ালে আঁকিবুঁকি করে;
তোমার শরীর কি এখনো নিস্তেজ শুয়ে থাকে; আমার আঙ্গুলের নিচে। 




0 comments:

"ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন ফজর পড়ে যেন সবাই কেন্দ্র পাহারা দেয়। কিন্তু কে জানতো প্রধানমন্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়ে বাক্স ভরে ফেলবেন।"...

আন্দালিব রহমান পার্থের রং চটচটে স্টেটমেন্ট



"ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন ফজর পড়ে যেন সবাই কেন্দ্র পাহারা দেয়। কিন্তু কে জানতো প্রধানমন্ত্রী তাহাজ্জুদ পড়ে বাক্স ভরে ফেলবেন।"

ইদানিং কিছু চমকপ্রদ ফেইসবুক ব্যবহারকারী হুজুগে ঢালাও ভাবে আন্দালিব রহমান পার্থের এই স্টেটমেন্টটি শেয়ার দিয়ে যাচ্ছে।

একবারও চিন্তা করছে না এখানে শরীয়তের সবচেয়ে বড় বিধান অর্থাৎ সালাতকে খুব পরোক্ষ ভাবে মৃদু বিদ্রুপ এবং কৌশলে সম্মানহানি করা হয়েছে। তার উপর আবার স্রষ্টার নৈকট্য লাভের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম তাহাজ্জুদের সালাত। কিন্তু আমরা নামমাত্র ভাবুক সমাজ তা নিয়ে ভাবনাহীন থেকেই জনে জনে কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ঐ নামমাত্র ভাবুক সমাজের নিকটই বিষয়টি মুক্ত বাক্স্বাধীনতায় পৌঁছে দিচ্ছি।

আচ্ছা যদি ধরে নেই, পার্থ সাহেব ঐ দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি বলেননি বা বিষয়টির ততটা গভীরে প্রবেশ করে বলেননি অথবা তার বক্তব্যকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই। তিনি অগভীর-অপ্রশস্ত-অসংলগ্ন বায়ুবীয় পার্থিব রস সৃষ্টি করতে ধর্মের সাথে রাজনীতির একটা রং চকচকা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন। আমরা তা ঢালাও ভাবে লুফে নিয়েছি। আমরা তা হাজারবার শেয়ার দিয়ে বিষয়টি চটচটে বানিয়েছি। আমাদের নামমাত্র ধর্মভিরুতা আমাদেরকে ভাবায়নি। কিন্তু আমরা ধর্মভিরু সমাজ ধর্মের জাগতিক সমস্ত রসটুকু সযত্নে আস্বাদন করে নিজের অজান্তেই আপন চেতনাকে কর্মক্ষমহীন রেখে নিরবে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছি ধর্মের স্পর্শকাতর অদৃশ্য রেখা।

যাইহোক পার্থ সাহেব সাদামাটা ভাবে কথাটি বলেছেন বা বিষয়টি নিয়ে এতো বিশ্লেষণের অংকুর তিনি বুনেননি অথবা তা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করারও অবকাশ নেই। কিন্তু ফেইসবুক বুদ্ধিজীবী সমাজ নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে যে হারে নিষ্ঠার সাথে স্টেটমেন্টটি শেয়ার দিয়ে যাচ্ছে। তখন বিষয়টি নিয়ে ভাবার ঘন্টা বিবেকের দরজায় করাঘাত করে। একটু হলেও বিষয়টি নিয়ে ভাবা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। 
তর্কের খাতিরে ধরে নেই, এখানে পার্থ সাহেব যে কথাটি বলেছেন তা অতি সাদামাটা। কোনো ধরনের বিতর্ক বা সংঘর্ষের ধারধারে না। কিন্তু যখন আমরা পাইলাম আর খাইলাম ফরমুলায় গণহারে বিষয়টি শেয়ায় দিয়ে সর্বলোকে জানিয়ে বেড়াই। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এখানে এমন কি আছে যা নিয়ে ফেইসবুক বুদ্ধিজীবী সমাজ এতো রব তোলেছে।

উত্তর দাঁড়ায় রংচটা স্টেটমেন্টের চটচটে ভাব দেখেই সবার শেয়ার দেয়া। স্টেটমেন্টের আভ্যন্তরীণ গাম্ভীর্য্যের প্রতি কারো বিন্দু মাত্র খেয়াল নেই।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আমার একটা স্টেটমেন্ট শেয়ারে কি এমন আসে যায়?

আপনার এমন ভাবনাহীন স্টেটমেন্ট শেয়ারে অনেক কিছু আসে যায়। আপনার ভাবনাহীন-অগভীর-অচেতন স্টেটমেন্ট শেয়ার অন্যের মাঝে অগভীর-অচেতন ভাবনারই বীজ বপন করে। কোন কিছু নিয়ে তার গভীর ভাবে ভাবার পথ আপনার অগভীর ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার বিশ্লেষণবোধগত বিকাশ আপনার দ্বারা বাধাগ্রস্থ হয়। বিবেকের বিচারবোধের তীক্ষ্ণতা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে পড়ে।

বলাবাহুল্য, রোজ হাশরে দিন নাকি সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত তথা মানুষের আকল (বিবেক) এর বিচার করবেন।

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে আকল দিয়েছেন এই কারনে মানুষ যেন ভাল-মন্দ, সুন্দর-কুৎসিত, সম্মান-অসম্মান ইত্যাদি অনুধাবন করতে পারে, বিচার-বিবেচনাবোধকে কাজে লাগিয়ে যেন আপাত তাৎপর্যহীন কাজগুলোও মানুষ পারস্পরিক স্বার্থে সম্পাদন করতে পারে।

কিন্তু বেশিরভাগই ফেইসবুক ব্যবহারকারী আকলকে গভীর ভাবনায় আকুল করে তুলতে পারে না। তাইতো তাদের নাটাই ছাড়া ঘুড়ি উড়ানো।

কোনটা শেয়ার দেয়া উচিত আর কোনটা শেয়ার দেয়া উচিত না? কোনটা ধর্মকে প্রশংসিত করে আর কোনটা ধর্মকে খাটো করে। কোনটা সমাজে অশ্লীলতা ছাড়ায় আর কোনটা সমাজে শালীনতা ছড়ায়। তাই যদি নামমাত্র সচেতন ফেইসবুক ব্যবহারকারী আকল দিয়া উপলব্ধি করিয়া উঠে শেয়ার দিতে না পারে। তখনই লোকমুখে বেক্কল শব্দের গোড়াপত্তন ঘটে।


0 comments:

জানো মহামায়া স্বরবর্ণ নয় ; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম। ঠিক প্রেম নয় ; মায়া। ঠিক মায়াও নয় ; এ যেন এক ...

মহামায়া


জানো মহামায়া
স্বরবর্ণ নয়; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
নতুন দিনের আহ্বানে বৃক্ষরাজি যেমন পত্র-পল্লব-মুকুলে মুহুর্মুহু হয়ে উঠে
ঠিক সেরকম।
কিছুতেই বর্ণহীন থাকতে চায় না
প্রাণের সমস্ত রস নিয়ে বেড়িয়ে আসতে চায় বহুকাল রুদ্ধ থাকা পাথরের মুখ থেকে

শুনবে মহামায়া
আমি ব্যঞ্জনবর্ণের সেই একই রঙের- সেই একই ঢঙের
সেই পূর্বপরিচিত চিরচেনা নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; এ যেন মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
নিবিড়-গভীর-গাঢ়
একদম অবিকল মানুষের মতো;
যে রাত্রিতে নৌকর গুলয়ে শুয়ে সন্ধ্যা আকাশের জোৎ
স্না দেখে
বিকেল হতেই হনহন করে ছুটে এসে
শনশন বাতাসে এক ঝাক ইচ্ছে বেঁধে দেয়
ঘুড়ির নাটাইয়ে;
সে প্রেম নয়; প্রনয়।

আরো শুনবে মহামায়া
আমি ব্যঞ্জনবর্ণের মধুর ব্যঞ্জনমিশ্রিত কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
বিস্তৃত নক্ষত্রের মতো
আদিমকাল থেকে জেগে বসে আছে
নিজকে মেলে ধরে
এই নিখিল বিশ্বব্রহ্মান্ডে
মেঘের আড়ালেও নিদ্রাহীন চেয়ে থাকে একটু আলো দেয়ার আশায়
বিভোর নেশায়।

জানো মহামায়া
স্বরবর্ণ নয়; আমি ব্যঞ্জনবর্ণের কোনো এক নাসিক্য ধ্বনির প্রেমে পড়ে ছিলাম।
ঠিক প্রেম নয়; মায়া।
ঠিক মায়াও নয়; এ যেন এক প্রণয়।
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে বুকে কাফন নিয়ে হনহন করে ছুটে আসা
এ যেন এক ঝাঁ
ক পাখি।
দুরন্ত-উদ্দাম-উন্মাদ।



0 comments: