recent

  বরাবরই বলা হয় মানুষের জীবন অনেক ছোট অনেক সংক্ষিপ্ত। আমার কাছে জীবনটা ঠিক ওরকম না; আমি জীবনকে বৃহৎ পরিসরেই দেখি। কেননা জীবনের সূচনা, জীবনের...


 

বরাবরই বলা হয় মানুষের জীবন অনেক ছোট অনেক সংক্ষিপ্ত। আমার কাছে জীবনটা ঠিক ওরকম না; আমি জীবনকে বৃহৎ পরিসরেই দেখি। কেননা জীবনের সূচনা, জীবনের পথ চলা, জীবনের অন্তিম যাত্রা; ওতোটা সংক্ষিপ্ত না। জীবন, সকল বিচিত্রিতা নিয়ে ধীর গতিতে বহমান একটি নদী।


আমার কাছে জীবনের মানে হল উদযাপন। বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনের বাকে বাকে আমি ঘটা করে স্বাদ নিতে উদ্ভদ্ধ একজন মানুষ।  আমার কাছে জীবনের মানে প্রতিটি মুহূর্তকে ভালোবাসা, প্রতিটি দিনের সাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রেম করা। প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করা সংগ্রামশীল জীবনই আমার কাছে প্রিয়। কারন সংগ্রামী জীবনই সবচেয়ে বেশি 'জীবন উদযাপন' করার সুযোগ পায়। প্রতিকূলতার সাথে সংগ্রাম করে জয়ী হবার মুহুর্তকেই আমার কাছে মনে হয় উদযাপিত জীবনের উৎসব। আমি সেই উৎসবে বিশ্বাসী, সেই উদযাপনে বদ্ধপরিকর একজন মানুষ। 


আমি আমার জীবনে আদর্শ ও নৈতিকতা চর্চার বিষয়কে সবচেয়ে বড় করে দেখি। যেখানে সবাই পশ্চাৎপদ ভাবনায় নিমগ্ন, সেখানে আমি এগিয়ে ভাবার প্রানপণ চেষ্টা করি। গতানুগতিক জীবন চর্চা আমাকে কোন কালেই আকৃষ্ট করেনি বরং শিল্প চর্চা আমাকে জীবনে অনন্য স্বাদ মিশ্রিত মধুর সন্ধান দিয়েছে। তাই আমি জাগতিক সকল সৃষ্টি ও স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার করাকে আমি আমার ধর্ম ভাবি। স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত ধর্মের মতোই কৃতজ্ঞতা স্বীকার আমার কাছে অবশ্য পালনীয় ধর্ম। কৃতজ্ঞতা স্বীকারকারী ব্যক্তি আমার কাছে খুবই প্রিয়। যার সান্নিধ্য পেতে আমি বরাবরই আকুল হয়ে থাকি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার মানুষে মানুষে সম্পর্ককে আরো বেশি দৃঢ় করে, মজবুত করে। আমি এই অমোঘ সত্যেই বিশ্বাসী। 


অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির সাথে আমার সম্পর্ক থাকলেও কখনো সুসম্পর্ক গড়ার সুচিন্তাও করি না। যতদূর সম্ভব অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। পরিচয়ের কারনে যদি একটু সম্পর্কও থাকে, এই সম্পর্ককে কখনো ধারণ করি না। এ সম্পর্কের জেরে অকৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপকার করার একচ্ছত্র অধিকারী হলেও উপকার করি না। স্পষ্ট  অর্থে সম্পর্কের যবানিকাপাত ঘটানোর পায়চারি করি।


আমার কাছে তাদেরকে সবচেয়ে নিন্মশ্রেণীর মানুষ মনে হয়, যারা সবার নিকট ভালো সাজার জন্য অন্যের দোষ-ত্রুটি বলে বেড়ায়, অন্যের নামে মিথ্যাচার করে। এ ধরনের মানুষদেরকে আমি কীটপতঙ্গের ন্যায় ক্ষতিকর ভাবি। তাদের ভীরে আমি যাই না, তাদের আড্ডায় আমি শরিক হই না, তাদের মিছিলে আমি শামিল হই না। আমি তাদের হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকি, একাকী  থাকি। বন্ধু মহলে এ ধরনের পরনিন্দা চর্চার চেয়ে বিচ্ছিন্ন থেকে অসামাজিকতা ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো ঢের ভালো। কারন আমি আমাকে ঐ সমাজের প্রতিবেশী মনে করি না। এ ধরনের সমাজের সাথে সম্পর্ক ছেদ ঘটিয়ে অসামাজিকতার চাদর মুড়িয়ে থাকাই আমার কাছে শ্রেয় মনে হয়।


কারো কাছ থেকে কোন কিছু লাভের আশায় চাটুকারিতা করাকে আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অসভ্যতা মনে হয়; অসম্মানেরও বটে। চাটুকারিতা করে অনেকে অনেক কিছু হাসিল করলেও আমি আমার আত্নসম্মান বিসর্জন দিতে নারাজ। যার সম্মানই চলে যায়, তার কি-বা আর থাকে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে চাটুকারিতা করে অর্জিত অর্থ-প্রভাব-প্রতিপত্তি-যশ-সুনাম ইত্যাদির ভিত্তি কি? এ প্রশ্নের সম্মুখীন দেহে এক বন্ধু রক্ত থাকতে হতে চাই না। চাটুকারিতা করা মানে নিজকে অন্যের কাছে বেঁচে দেওয়া, নিজের আত্নসম্মান নিয়ে অন্যের কাছে আত্নসমর্পন করা। যা ইহলৌকিক এ জীবনে আমার দেহের এক তিল জায়গাতে এই ক্ষতের অদৃশ্য স্পর্শ নিতে আমি বড্ড বেশি অনুৎসুক।


আমি ধৈর্যশীল।  তবে খুব বেশি নই। ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা থাকলেও সহ্য করার ক্ষমতা একবারেই নেই। সকল অন্যায়, অত্যাচার ও মিথ্যাচারের সুস্পষ্ট জবাব দেয়ার চেষ্টা করি। যদি না পারি, তবে ছাড় দেই না। সুস্পষ্ট জবাব দেয়ার প্রকৃত সময়ের অপেক্ষা করি৷ প্রকৃত সময় না পেলেও উপযুক্ত সময় খুজে বের করে এর দ্বিগুণ জবাব আপন দেহে অনুরূপিত করে রাখি। আমি সহ্য করার ক্ষমতা দেখিয়ে মহৎ হওয়ায় চেষ্টাকে নিছক বোকামি মনে করি। আমি নিজের সংশ্লিষ্ট বিচার নিজে করতে পছন্দ করি। আমি আপনা বিচারের ক্ষেত্রে মহানুভবতার পরিচয় দেই না।


আমি লজিকাল মানুষদেরকে পছন্দ করি, যারা যুক্তি বুঝে। পাশাপাশি যুক্তির বিরুদ্ধে প্লাটা যুক্তি দাঁড় করাতে পারে; তাদেরকে আরো বেশি পছন্দ করি। যুক্তিনির্ভর, বিশ্লেষণধর্মী কথাই আমার প্রিয়। আমি আবেগীয় কথার চেয়ে জ্ঞান নির্ভর কথা শুনতে পছন্দ করি। আবেগীয় কথাও পছন্দ করি; তবে জ্ঞান নির্ভর কথার তুলনায় নেহাত কম। আমি বিবাধের বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনাকে প্রশংসা করি। তবে অবশ্যই যুক্তি নির্ভর আলোচনা হতে হবে। যুক্তি দিয়ে আমাকে ভুল প্রমানিত করা ব্যক্তিকে আমি সাধুবাদ জানাই, আমার বন্ধুভাবি। অযুক্তিক মানুষের সাথে সম্পর্ক আমার কাছে এক ধরনের বিষাদগ্রস্থতা মনে হয়। যুক্তি, মুক্ত চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা করা মানুষের সংস্পর্শে থাকতে পারাকে আমার কাছে আর্শীবাদ মনে হয়।


তাছাড়া এমন শ্রেণীর কিছু মানুষ আছে তারা ধরেই নেয়, তারা যুক্তি মানবে না অথবা তাদের সামনে যুক্তি উপস্থাপন করলেও তারা তাদের আপন গোঁড়ামিতে অনড় থাকবে। এ ধরনের মানুষের সাথে আমি তর্কে যাই না। এ ধরনের মানুষের সাথে তর্কে যাওয়া স্রেফ নির্বুদ্ধিতা ও মূর্খতার পরিচয় বলে মনে করি। তখন তাদের গোঁড়ামিকে মথা ঝাঁকিয়ে শারীরিক সমর্থন দিয়ে আসি। আর মানসিকভাবে নিজেই নিজের আদালতের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পরিত্যক্ত জবানবন্দি দেই।


আমি আমার সবচেয়ে বড় শক্তি মনে করি- আমার বিবেকবোধ, আমার অনুশোচনাবোধ। আমি মানুষ হিসেবে ভুল ত্রুটির উর্ধ্বে নই। আমি যথেষ্ট ভুল করি, অন্যায় করি, পাপ করি। তবে আমার বিবেক আমাকে ভাবায়, আমার বিবেক আমাকে সারাক্ষণ তাড়া করে, আমাকে আমার অন্যায় কাজের নির্ভেজাল শাস্তি দেয়। প্রতিটি অন্যায় কাজের গভীর অনুশোচনা আমাকে পরতে পরতে শুদ্ধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। আমাকে আমার কৃতকর্মের জন্য নাতজানু করে। আমাকে আমার ভুল বুঝতে পারার পথ বাতলে দেয়। আমাকে কাঁদায়, আমাকে শাসায়। আমার বিবেকবোধ আমাকে লজ্জা দেয়। আমার আপাদমস্তক মূল্যায়ন করে শুদ্ধতার কথা বলে, বিশুদ্ধতার দিকে এগিয়ে দেয়।


আমি যতটুকু উৎসর্গশীল আবার ততটুকুই স্বার্থন্বেষী। আমি যাকে যতটুকু দেই; তার থেকে ঠিক ততটুকুই পাওয়ার আশা করি। তবে ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্নতা রয়েছে। আমি নিজের জন্য যেটা পছন্দ করি, অন্যের জন্য ঠিক সেটাই পছন্দ করার চেষ্টা করি। আমি নিজের কাজটুকু রেখে অন্যের কাজটুকু করা যেমন পছন্দ করি না। তেমনি নিজের কাজটুকু অন্যকে দিয়ে করানোও পছন্দ করি না।


বন্ধুত্ব তৈরির ব্যাপারে আমি আন্তরিকতার বিষয়কে প্রাধান্য দেই। যে যত মন্দ স্বভাবের হোক না কেন, তার মাঝে যদি অহংকার না থাকে আর যদি সে অন্তরিক হয়, সবার সাথে মিশে যাওয়ার আপন উজ্জীবনী শক্তি থাকে। তাহলে তাকে আপনজন ভাবতে আমি কখনো মনে সংশয় রাখি না। যমদূতের সামনে দাঁড়িয়েও তাকে বন্ধু ভাবতে দ্বিধান্বিত হই না।


আমি যাকে ভালোবাসি বা অনুসরণ করবার ব্যক্তি মনে করি। তাকে সবসময় একজন পরিপূর্ণ শুদ্ধ মানুষ হিসেবে দেখতে পছন্দ করি। তার একটু ভুল বা তার একটু অশুদ্ধতা আমাকে খুব বেশি বিচলিত করে। কোনভাবেই তার এতটুকু ভুল আমি মেনে নিতে পারি না। কারন তাকে তো আমি ভালোবাসি, তাকে তো আমি অনুসরণ করবার নেতা মনে করি। 


অন্যকেউ বা তৃতীয় কোন ব্যক্তি ভুল করলে বা অসুস্থ চিন্তা চেতনা লালন করলে আমি হয়তো তার ভুলটুকু ধরিয়ে দিতে পারি। এর চেয়ে বেশি আর কতটুকুই বা করতে পারি। কিন্তু যে মানুষটি আমার প্রিয়। যাকে অনুকরণ করার প্রবল ইচ্ছা আমার। স্বভাবতই তার ভুলগুলো আমায় রাগান্বিত করে। যে কারনে তার উপর চটে গিয়ে বকুনি দেয়া আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় না। অসহিষ্ণু হয়ে তাকে আমার মেজাজের চরমাবস্থা জানান দেই।


সময়জ্ঞান সম্পন্ন মানুষদেরকে আমি ভালোবাসি। যদিও আমি ততটা সময়ের খেয়াল রাখি না। তবে সময়জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের সহচার্য পাওয়ার প্রবল আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি। তাদের শ্বাশত সময় বলয়ে অনুপ্রবেশ করার নিরন্তন ইচ্ছা আমার ভিতর ঝড় বাতাসের ন্যায় সর্বদা বয়ে চলে। মাঝেমাঝে তাদের সময় জ্ঞানের উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে হতাশায় মুষড়ে পড়ি। আবার উঠে দাঁড়িয়ে সময় পানে ধাবিত হই। সময়জ্ঞান সম্পন্ন মানুষদেরকে বড্ড সফল মানুষ মনে হয়। যেন অচিরেই তাদের ঝুড়িতে আরো কিছু সফলতা এসে জমা পড়বে। তাইতো সময়ের অগ্রভাগে দাঁড়িয়ে বাঁচবার তীব্র ইচ্ছা দিনকে-দিন তীব্রতর হচ্ছে।


সময়জ্ঞানহীন মানুষ আমার কাছে পীড়াদায়ক মনে হয়। বলা চলে এক ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন। আবার এক ধরনের অসুস্থ শ্রেনীর মানুষও মনে হয়। যারা নিজদের অসুস্থ সময়জ্ঞান দিয়ে চারপাশটিকে বিব্রত ও কর্ম বিমুখ করে তোলে। যারা হরদম উদ্দেশ্যহীন জীবন কাটিয়ে দিতে একটুও লজ্জাবোধ করে না। এমন উদ্দেশ্যহীন জীবন আমার কাছে বরাবরই অপ্রিয়। 


আমি ছোট-বড় সবাইকে শ্রদ্ধা করতে পছন্দ করি। জোর করে শ্রদ্ধাবোধ আদায় করাকে আমার কাছে কাপুরুষতা মনে হয়। আমি শ্রদ্ধা আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে স্নেহশীলতাকে বেছে নিতে পছন্দ করি। কারন আমি মনে করি স্নেহশীল মানুষ বরাবরই শ্রদ্ধা পেয়ে থাকে। আমার কাছে স্নেহশীলতাকে এমন এক অস্ত্র মনে হয়; অর্থ-ক্ষমতা দিয়ে যা অর্জন করা যায় না, স্নেহশীলতা দিয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্জন করা যায়।


গোপনীয়তার ক্ষেত্রে আমি একজন পাকাপোক্ত মানুষ। শত্রু কিংবা বন্ধু; আমি সকলের সকল কথা গোপন রাখতে পছন্দ করি। যে কেউ নির্দ্বিধায় যে কোন ধরনের গোপন কথা আমাকে বলতে পারে। আমি নির্মোহভাবে তাকে অভয় দিতে পারি, তার গোপন কথা সূর্যের অপর পিঠের ন্যায় আমার কাছে গোপন থাকবে। কারন গোপনীয়তা আমার কাছে সৌন্দর্যবোধ। আর আমি এই সৌন্দর্য চর্চায় পারদর্শী।


যদি নিজকে এক বাক্যে মঞ্চস্থ করার অভিনয় আসে; তাহলে আমি সবিনয়ে বলব - "আমি মেঘ হতে চাই, শৃঙ্খল মেঘ!"

ডাউন সিনড্রোমহছে শরীরের এমন একটি অবস্থা যখন একজন মানুষের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্রোমোজোম থাকে। ক্রোমোজোম হচ্ছে শরীরের মধ্যে অবস্থানকৃ...



ডাউন সিনড্রোমহছেশরীরের এমন একটি অবস্থা যখন একজন মানুষের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্রোমোজোম থাকে। ক্রোমোজোম হচ্ছে শরীরের মধ্যে অবস্থানকৃত জিনের একটি “প্যাকেট” ।এই প্যাকেজটি বাচ্চা জন্মের পূর্বে কি অবস্থায় আছে,সবকিছুঠিকভাবে কাজ করতেছে কিনা সবকিছু চেক করে। সাধারণত একটি বাচ্চা ৪৬টি ক্রোমোজোম বা ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমন্যেজন্মায়।যেইসব বাচ্চাদের ডাউন সিনড্রোম রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে একটি বেশি ক্রোমোজোম এর আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।প্রয়োজন এর চেয়ে বেশি ক্রোমোজোম থাকাকে Trisomy বলে মেডীক্যাল সাইন্স এর ভাষায়। ডাউন সিনড্রোম কে অনেকে Trisomy 21 নামেও চিনেন। ক্রোমোজোম এর এই এক্সট্রা সংখ্যাটিই বাচ্চার শারিরীক গঠন এবং মস্তিষ্কের উন্নতির পরিবর্তন ঘটায় দেয়। যদিও যাদের ডাউন সিনড্রোম রয়েছে তাদেরকে দেখতে অনেকটা একইরকম লাগে কিন্তু প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদাকর্মক্ষমতা রয়েছে। সাধারনতডাউন সিনড্রোমআক্রান্তদেরআইকিউ সাধারণ মানুষদের থেকে কম হয় এবং নরমাল মানুষদের চেয়ে একটু ধীরে কথা বলে।

ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্যঃ  
·        চ্যাপ্টা মুখ অবয়ব । বিশেষ করে নাকের দিকে।
·        পায়ের একটি আংগুল থেকে অন্য আংগুলের মধ্যে গ্যাপ বেশি থাকে। 
·        গোলাকৃতি চোখ (বড় বড়)। 
·        ছোট ঘাড়। 
·        ছোট কান। 
·        জিহবা সহজেই মুখ থেকে বের হয়ে যায়(জড়ানো জিহ্বা)।
·        ছোট হাত পা। 
·        চোখের আইরিশে ছোট সাদা দাগ থাকে অনেক সময়।
·        হাতের তালুতে সরু দাগ থাকে (মসৃণ নয়)।
·        ছোট ছোট গোলাপী আংগুল।
·        দেহের পেশী দুর্বল হয় তুলনামুলক ভাবে। 
·        সাধারণ বাচ্চাদের চেয়ে খাটো হয়।

যেসব উন্নয়ন এ বাধা দেখা যায় বেশিঃ 
·        আবেগপ্রবন বেশি।
·        বিচারবুদ্ধি কম। 
·        মনোযোগ এর ঘাটতি। 
·        সাধারণদের চেয়ে দেরীতে বুঝা।
·        সাধারণভাবে দেরীতে হাটতে শিখে,বসতে শিখে। 

ব্যাপকতাঃ
সাধারনত আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি ডাউন সিনড্রোম লক্ষ করা যায়। প্রতি বছর প্রায় ৬০০০ বাচ্চা জন্মের সময় থেকে এই বৈকল্যে আক্রান্ত হয়।National Down syndrome society(NDSS) এর মতে, প্রতি ৭০০ বাচ্চার মধ্যে ১ জনের ডাউন সিনড্রোম হয়।

প্রকারভেদঃ
·        Trisomy 21
·        Mosaicism
·        Translocation
Trisomy 21- ২১ জোড়াটি এক্স্ট্রা ক্রোমোজোম থাকাকেই Trisomy 21 বলে।
Mosaicism-এটি হয় যখন বাচ্চার ২১ জোড়া ক্রোমোজোম কয়েকটি কোষে হয়,সবগুলোতেনয়।যাদেরMosaicism Down syndrome রয়েছে তাদের লক্ষনতুলনামুলকভাবে কম দেখা যায়।
Translocation– যাদের ২১ জোড়া ক্রোমোজোম শুধু ১টি রয়েছে.৪৬টির সাথে শুধু ১টি এক্স্ট্রা রয়েছে।

যেসব শিশুদের ডাউন সিনড্রোম হওয়ার সম্ভাবনা বেশিঃ 
·        যেইসব লোকেরা ৪০ বচর বয়সের পরে সন্তানের বাবা হন।
·        যেইসব মায়েরা ৩৫ বছরের বয়সের পর সন্তানের মা হন। 
·        যাদের পরিবারে কোন সদস্যের ডাউন সিনড্রোম রয়েছে। 
·        যারা জেনেটিকট্রান্সলোকেশন ক্যারি করেন (বাহক হিসেবে)। 

প্রেগ্নন্যান্সির সময় জানার উপায়ঃ 
Nuchal Translucency Testingগর্ভকালীন সময়ের ১১-১৪ সপ্তাহের মধ্যে Ultra sound এর মাধ্যমে শব্দ প্রেরণ করে ফিটাসের ঘাড়ের পিছনের টিস্যুগুলোর মাঝখানের জায়গা জেনে জানা যায়।
Integreted Test-৩ মাস গর্ভে থাকাকালীন সময়ে একসাথে কয়েকটি টেস্ট করেও (Nuchal Translucency+ Quadruple Screening Test) জানা যায়।
Chroionic Villus Sampling (CVS)প্লাসেন্টার ভিতরের উপাদানগুলো পরিক্ষার মাধ্যমে
Aminiocentesis-Amniotic fluid-(বাচ্চাকে ঘিরে যেই তরল থাকে মায়ের পেটে থাকা কালীন) পরিক্ষা করে। 
Percutaneous Umbilical Blood Sampling(PUBS)-Umbilical Cord এ থাকা রক্তের পরিক্ষা করে।

ডাউন সিনড্রোমেআক্রান্ত ব্যক্তিদের অন্যান্য যেসব সমস্যা থাকতে পারেঃ
·        কানে শুনায় সমস্যা। 
·        কোমরে সমস্যা। 
·        লিউকোমিয়া। 
·        Chronic Costipation। 
·        Dementia। 
·        Hypothyroidism। 
·        Obesity। 
·        দেরিতে দাঁত উঠা। 
·        Alzheimer’s Disease। 
·        Obstructive sleep apnea- ঘুমানোর সময় হঠাৎ করে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া
·        কানে ক্ষত হওয়া। 
·        চোখে সমস্যা। 
·        জন্ম থেকেই হৃদপিণ্ডে সমস্যা। 

ট্রিটমেন্টঃ
ডাউন সিনড্রোম একটি চিরস্থায়ী অবস্থা।জন্মের পর থেকে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নিলে মানসিক ও শারিরীক বিকাশে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।অনেকডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত বাচ্চারা সবার মতই সব কাজ করতে পারে।
·        Sensory skill
·        Social Skill
·        Self-help skills
·        Motor skills
·        Language and Cognitive Abilities
এইসব দক্ষতা বা কাজগুলা বেশি বেশি চর্চা করলে সাধারণত অনেক বাধাই অতিক্রম হয়ে যায়।এবং অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে চলে আসতে পারে।

রেফারেন্স

MD.SHOEB ADNAN
Audiology and Speech Language Pathology(3rd Batch)
Proyash Institute of Special Education and Research
Bangladesh University of Professionals

তাজরিন আত্নতৃপ্তির এক সুদৃঢ় নাম তাজরিন বর্নোজ্জ্বল এক প্রভাতে উদ্দাম স্বাধীনতার নাম তাজরিন কেবলই এক বিমুগ্ধ সুখানুভূতির নাম তাজরি...


তাজরিন আত্নতৃপ্তির এক সুদৃঢ় নাম
তাজরিন বর্নোজ্জ্বল এক প্রভাতে উদ্দাম স্বাধীনতার নাম
তাজরিন কেবলই এক বিমুগ্ধ সুখানুভূতির নাম
তাজরিন পৃথিবী পানে প্রত্যাবর্তিত এক তারার নাম
তাজরিন এক স্বপ্নের নাম
তাজরিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশে রংধনুর নাম
তাজরিন বিনম্র এক শ্রদ্ধার নাম
তাজরিন অনবদ্য এক মহাকাব্যের নাম
তাজরিন হাজারো সহায়হীনের এক আশ্রয়ের নাম

তাজরিন একটি প্রবাহমান নদীর নাম
তাজরিন একটি প্রশস্ত হৃদয়ের নাম
তাজরিন একটি পাল তোলা নৌকর নাম
তাজরিন একটি পৃথিবীর নাম
তাজরিন একটি জীবনের নাম
তাজরিন এক আলো-আধারি ছায়ার নাম
তাজরিন আমৃত্যু কৃতজ্ঞ হয়ে বেঁচে থাকার নাম
তাজরিন ফেলে আসা শত বিচ্ছেদের অভিমান ভাঙার নাম
তাজরিন চিরায়িত এক সত্যের নাম
তাজরিন একটি বিশ্বাসের নাম
তাজরিন গাঢ় অন্ধকারে নির্মল আলো প্রক্ষেপণকারী একটি প্রদীপের নাম
তাজরিন উর্ধ্ব আকাশ থেকে ভেসে আসা এক সুমধুর সুরের নাম
তাজরিন কেবলই জন্মান্ধ এক মায়ার নাম
তাজরিন বিমূর্ত এক অপরূপা চিত্রময়ীর নাম
তাজরিন বর্ষার পলিতে পরাগায়ন মুখরিত-দোলায়িত সোনালি ফসলের নাম
তাজরিন বহু ক্রোশ হেঁটে আসা এক পথিকের প্রত্যাশিত ঠিকানার নাম
তাজরিন এক তুলনাহীনা আদর্শের নাম
তাজরিন বর্ণিল এক হাসির নাম
তাজরিন পৃথিবীর দুমেরুর মিলনের নাম

তাজরিন এক প্রার্থনার নাম
তাজরিন এক ইতিহাসের নাম

তাজরিন শত স্পর্শে নিঃশব্দ, সাড়াহীন; এক মগ্নতায় ডুবে থাকার নাম
তাজরিন একটি সুপ্ত হৃদয়াকাঙ্খার নাম
তাজরিন একটি নক্ষত্রখচিত আকাশের নাম
তাজরিন জীবন সমুদ্রে এক উচ্ছ্বাসিত জোয়ারের নাম
তাজরিন মরা গাঙে বারিধারার বর্ষনে- সৃষ্ট প্লাবনের নাম
তাজরিন চোখ ধাঁধানো এক যাদুর নাম
তাজরিন বৈকাল হ্রদের গভীরে একটি পূণ্য আবির্ভাবের নাম
তাজরিন সৌরভ মুখরিত পুষ্প সমারোহের নাম
তাজরিন জীবন সায়াহ্নে বাকরুদ্ধ এক অভিপ্রায় এর নাম
তাজরিন এক মহামায়া অথবা এক মায়াময়ীর নাম
তাজরিন শিশির ভেজা এক মুক্ত প্রাঙ্গনের নাম
তাজরিন নিখুঁত সত্যে-আত্নপক্ষ সমর্থনের নাম
তাজরিন স্রষ্টার এক অদ্বিতীয়া সৃষ্টির নাম
তাজরিন কল্যাণময় শত ত্যাগের নাম
তাজরিন একটি মানবিক নাম

তাজরিন সকল উপমা জলাঞ্জলি দেওয়া
আপন মহিমায় চির উদ্ভাসিত এক নাম
তাজরিন ক্ষুদ্র জীবনে এক আর্শিবাদের নাম
তাজরিন ধর্মীয় এক অনুশাসনের নাম
তাজরিন কেবলই এক অতৃপ্ত মুগ্ধতার নাম
তাজরিন অনাবিল এক ঝর্নার নাম
তাজরিন অনিবার্য একটি অভ্যুদয়ের নাম

তাজরিন নববধূর মাধুর্য মিশ্রিত একটি নকশিকাঁথার নাম
তাজরিন সূচনালগ্ন একটি সভ্যতার নাম
তাজরিন নিস্তব্ধ একটি ব্যকুলতার নাম
তাজরিন দীপ্তচোখে বারংবার ঔদাসীন্যে অবগাহনের নাম
তাজরিন আগুনের লেলিহান শিখায় দাঁড়িয়ে অশ্রু সংবরন করার নাম
তাজরিন হৃদয় মন্দির লন্ড-বন্ড করে দেওয়া একটি ঝড়ের নাম
তাজরিন এক প্রখ্যাত ইত্যিহের নাম
তাজরিন এক স্বপ্নাবিষ্ট নাম
তাজরিন এক উচ্ছ্বাসের নাম

তাজরিন মনোহরী এক ইন্দ্রিয় অনুভূতির নাম
তাজরিন উৎফল্ল হৃদয়ে নির্বাসিত হওয়ার নাম
তাজরিন একটি প্রেরণার নাম
তাজরিন একটি শ্রুব্র মোহের নাম
তাজরিন জগদীশ্বরের চোখে ঘোর সৃষ্টি করা- একটি কালজয়ী রঙের নাম
তাজরিন একটি বাধাহীন অক্ষাংশের নাম
তাজরিন রক্তিম আভা মিশ্রিত একটি শিউলি ফুলের নাম
তাজরিন একটি ভাষার নাম
তাজরিন অলিখিত একটি প্রেমময়ী চুক্তির নাম
তাজরিন একটি অসীম প্রতিজ্ঞার নাম
তাজরিন উজ্জ্বল কেশী, সুখী, শৌখিন এক বিদ্যানুরাগীর নাম
তাজরিন একটি সংকল্পের নাম
তাজরিন বিভীষিকাময় পথে মৃত্যু অবধারিত জেনেও
এক সুবর্ণ সায়াহ্নের দার পরিগ্রহনের নাম
তাজরিন একটি দুঃসাহসের নাম
তাজরিন সূর্যচন্দ্রালোকিত নবপ্রস্ফুটিত স্বপ্নাভিভূত এক নূতনসৃষ্ট লাবণ্যের নাম
তাজরিন একটি জ্যোৎস্না শোভিত রাত্রির নাম
তাজরিন জল-স্থল-অন্তরীক্ষে রহিত নিদর্শনের নাম
তাজরিন পৃথিবীর সপ্ত-আশ্চর্যের নাম
তাজরিন আয়ত-পদ্মলোচনা একটি অম্রমুকুলের নাম
তাজরিন একটি নীলরঙা সাগরের নাম
যে কিনা যথেষ্ট অভিমানী;
তবুও আবিরাম কাছে টানে

তাজরিন একটি রূপকথার নাম
তাজরিন অসূর্যস্পশ্যা অন্তঃপুরী এক রাজকন্যার নাম
তাজরিন প্রথমা আকাশ বিদীর্ন করে উঁকি দেওয়া এক নববর্ষার নাম
তাজরিন কারুকার্য সজ্জিত এক পূজনীয় প্রতিমার নাম
তাজরিন পূর্নিমাতিথিতে অলংকার আচ্ছন্ন এক শুভলগ্নের নাম
তাজরিন চাঁদের অমাবস্যায় হৃদয় অববাহিকায় পরমানন্দময় এক প্রনয়ের নাম
তাজরিন সহস্রবার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে দেখা এক অপূর্ব সৌন্দর্যরাজ্ঞীর নাম
তাজরিন স্বর্নলেখায় অঙ্কিত-মায়াসিংহাসন মণ্ডিত এক জগজ্জয়ী অনন্যতার নাম
তাজরিন শুধুই গুণের প্রতাপ প্রতিপত্তি কিংবা রূপের জৌলশ নয়
তাজরিন সকল দৃষ্টির অগোচরে পৃথিবীর একমাত্র ঐশর্য।।

তাজরিন সুশ্রী-শুচি অভয়বে রূপ-রস-গন্ধ বিলিয়ে অবিরাম বয়ে চলা এক সৌন্দর্যস্রোত

তাজরিন শ্রদ্ধাভরে অবনমিত শিরে একটি আদ্র সবুজ পুষ্প কিংবা একটি সদ্য প্রসবজাত পত্র-পল্লবের নিকট একটি মৌমাছির শালীন গুঞ্জন।

তাজরিন শুধুই সৌন্দর্যের আধার কিংবা লীলাভূমি নয়;
তাজরিন সৌন্দর্যের এক অভয়ারণ্য।।

যদি আমাকে জিজ্ঞেস কর , " আকাশ না দেখার অপূর্নতা কেমন ?" আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব , " আকাশ না দেখে বেঁচে থ...



যদি আমাকে জিজ্ঞেস কর, "আকাশ না দেখার অপূর্নতা কেমন?"
আমি এতোটুকু না ভেবেই প্রত্তুত্তরে বলব, "আকাশ না দেখে বেঁচে থাকা যায়?"
আকাশ আছে বলেই তো আমার বাঁচার স্বপ্ন।
তুমিহীনা আমি ঢের বাঁচতে পারি
কিন্তু আকাশহীনা!
আকাশ কত বিশাল!
কত গাঢ় তার রঙ!
কি অনন্য তার উচ্চতা!
যোজন যোজন দূরে থেকেও কেমন যেন উদার, সুশৃংখলতা।
ছোঁয়া যায় না; তবুও হৃদয়ের খানিক জায়গায় সুক্ষ্ম টান তার প্রতি
চির ধরে পুরো হৃদয় দ্বিখন্ডিত হওয়ার টান!
একটিবার হলেও যেন তাকে দেখতে হবে
এবেলা না দেখতে পেলেও যেন ওবেলা দেখি
দুমুঠো না খেয়ে হলেও যেন একমুঠো দেখি
কি এক নিয়মে যেন তাকে আমি দেখতে বাঁধা!
কতশত আকাশ আমাদের আকাশে!
প্রভাতের আকাশ, বৃষ্টিস্নাত আকাশ
কালিমাখা আকাশ, সন্ধ্যা আকাশ
অপরাহ্নের আকাশ, নীলিমা মিশ্রিত আকাশ
মেঘে ঢাকা আকাশ, নক্ষত্রখচিত আকাশ।
তুমিই বল, "এতোশত আকাশ না দেখে থাকা যায়?"
তারপরও;
এইতো সেদিন আকাশ দেখতে দেখতে বলেছিলাম, "তোমায় আকাশসম ভালোবাসি।"
আর তুমি!
আমার আকাশ দামে আমার সকল শর্ত তোমায় নিঃশর্ত সমর্পণ করলাম।
পারলে চুকিয়ে দিও।